
ছবি: সংগৃহীত
মানুষের মায়া, সময় ও সম্পর্কের প্রতীকী গল্পের নির্মাতা খন্দকার রফিক। মানুষ, সময় আর মায়ার গল্প নিয়ে তাঁর নির্মিত টেলিফিল্ম ‘বটবৃক্ষ’–এর প্রিমিয়ার শো'তে দর্শকদের সেই মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে।
তরুণ নির্মাতা খন্দকার রফিকের রচনা ও পরিচালনায় ‘বটবৃক্ষ’র গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি প্রতীকী বটবৃক্ষ—যার ছায়ায় জন্ম নেয়, লালিত হয় এবং একসময় হারিয়ে যায় অসংখ্য সম্পর্ক। এই বটবৃক্ষ হয়ে ওঠে জীবনের স্মৃতি, সময় ও অস্তিত্বের প্রতীক।
নির্মাতা এই নির্মাণে তুলে ধরেছেন সম্পর্ক, স্মৃতি ও জীবনের প্রতীকী বটবৃক্ষ—যা সময়ের সাথে হারিয়ে যাওয়া বন্ধনকে আবার স্মরণ করিয়ে দেয়। টেলিফিল্মটিতে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন নবাগত আনিকা সুলতানা ও সজল খান। এতে আরো অভিনয় করেন কফিল উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, অজিত কর্মকার, নূর রাকিব, রাকিব হাসান, নাদিম মোড়ল, আরাফাত, একঝাঁক শিশুশিল্পী অর্পিতা, অতনু, অর্না, ফানি, প্রজাপতি, লাবণ্যসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সোহেল রানা, জেলা কালচারাল অফিসার মোছাঃ শাহেলা খাতুন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ টুলু, অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক, অধ্যাপক অসীম বিভাকর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক সৈয়দ মোকছেদুল আলম লিটনসহ সাংস্কৃতিককর্মী, ব্যক্তি, অভিভাবক এবং সংস্কৃতিপ্রেমীরা।
উপস্থিত অতিথিরা নির্মাণশৈলী, সংলাপ এবং উপস্থাপনার গভীরতায় মুগ্ধ হন। ‘বটবৃক্ষ’-এর শক্তিশালী বর্ণনাধার কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় বাকশিল্পী কামরুল হাসান। প্রায় ৪০ জনেরও বেশি অভিনয়শিল্পী অংশ নিয়েছেন এ টেলিফিল্মে।
তাদের সজীব অভিনয় টেলিফিল্মটিকে দিয়েছে এক মানবিক ও প্রাণবন্ত ছোঁয়া। চিত্রগ্রহণ, সংগীত, সংলাপ ও বর্ণনার ছন্দ মিলিয়ে ‘বটবৃক্ষ’ যেন এক কাব্যিক চলচ্চিত্রের ভাষা নির্মাণ করেছে। টেলিফিল্মটির সঙ্গীত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক রিয়াজ মামুন, কণ্ঠ দিয়েছেন কফিল উদ্দিন, মালিহা তাবাসসুম রাফা, অর্পিতা বিশ্বাস।
প্রদর্শনী শেষে অতিথিরা জানান, “এ ধরনের গল্প আজকাল খুব কমই দেখা যায়। বটবৃক্ষ শুধু একটি টেলিফিল্ম নয়, এটি একটি অনুভবের যাত্রা।”
পরিচালক খন্দকার রফিক বলেন, “বটবৃক্ষ আমার কাছে শুধু একটি গল্প নয়, এটি সময়ের ভেতর লুকিয়ে থাকা বটবৃক্ষের অনুভূতির প্রতিধ্বনি। এই টেলিফিল্মে আমি চেষ্টা করেছি মানুষ, প্রকৃতি ও সম্পর্কের এক অভিন্ন বন্ধনকে তুলে ধরতে।”
অনুষ্ঠানের শেষে শিল্পী ও অতিথিদের সঙ্গে আলাপচারিতা, স্মৃতিচারণে প্রিমিয়ারটি পরিণত হয় এক অনন্য সাংস্কৃতিক উৎসবে। খুব শিগগিরই স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে টেলিফিল্মটি।