বগুড়ার বাজারে প্রচুর কাচা মরিচ থাকলেও এর দাম পাইকারি থেকে খুচরা মুল্য দ্বিগুনেরও বেশী ব্যবধান। আবার পেঁয়াজ বাজারে সয়লাব থাকলেও কিছুতেই দাম কমছেনা। বরং ক্রমেই বেড়েই চলছে এর ঝাঁঝ। শনিবার বগুড়ার বিভিন্ন পাইকারি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বগুড়ার রাজাবাজার, শাজাহানপুর, গাবতলী ও নন্দীগ্রামের বাজারগুলোতে দেখাগেছে, পাইকারি দরে প্রতিকেজি কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। শুধু তাই নয়, এর চেয়েও কম দামে কৃষকের ক্ষেত থেকে মরিচ ক্রয় করে প্রতিদিন শতশত ট্রাক মরিচ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকাড়রা নিয়ে যাচ্ছে। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। বিধায় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের এমন লাগামহীন দৌড়াত্ব মেনে নিতে পারছেনা খুচরা ক্রেতারা।
এভাবে একদিকে পেয়াজের ঝাল সীমাহীন, অপরদিকে মরিচের দামও উচুতে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে আড়তদার ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। ফতেহ আলী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, তারা রাজাবাজার থেকে কাঁচা মরিচ পাইকারিতে ২৬-২৮ টাকা কেজিতে কিনেছেন। আর ক্রেতাদের দেখাযায় তারা ৮০ টাকা কেজি দরে মরিচ ক্রয় করছেন।
শাাহানপুরের মাঝিড়া, বিব্লক, আড়িয়া বাজার, গাবতলীর পেরীর হাট, ও সারিয়াকান্দীর চন্দনবাইসা বাজারেও ৮০ টাকা কেজি দরে কাচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে শহরের রাজাবাজার আড়তে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রতিটি আড়তে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। তবে দাম কমার চেয়ে বেড়েই চলেছে।
‘আল্লাহর দান’ আড়তের মালিক আবদুর রহমান রুনু জানান, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ও মিসরের লাল পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিকেজি পেঁয়াজে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা মূল্য বেড়েছে। তারা দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন।
বহুমাত্রিক.কম