স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে গাইবান্ধায় অংকন হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা। গাইবান্ধা-সাঘাটা-ফুলছড়ি সড়কের ১০ কিলোমিটার জুড়ে অংকন হচ্ছে বিশ্বের এই দীর্ঘতম আলপনা উৎসব।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ) এই আলপনা উৎসবের আয়োজন করেছে।
পুসাগ এর নির্বাহী সভাপতি ডা: তন্ময় নন্দী ও প্রধান সমন্বয়ক চন্দ্র শেখর চৌহান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গাইবান্ধা জেলা শহরের পুলিশ লাইনের সম্মুখ থেকে এই আলপনা অংকন শুরু হয়। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় পর্যন্ত এই আলপনা আঁকা হবে। যার দৈর্ঘ্য হবে ১০ কিলোমিটার। একটানা ২৪ ঘণ্টা এই আলপনা অংকন কাজে অংশ নেয় পুসাগের এক হাজার ১০০ জন শিল্পী।
পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ) এর সভাপতি হুসেইন মোহাম্মদ জীম জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষকে সারা বিশ্বে স্মরণীয় করে রাখতেই দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে এই বর্ণিল নান্দনিক আলপনা অংকনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে এই কর্মসুচি হাতে নেওয়া হয়।
পুসাগ এর সাধারণ সম্পাদক এ কে প্রামাণিক পার্থ জানান, তারা আশাবাদী নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আলপনা অংকন সম্পন্ন করে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে গাইবান্ধা জেলার নামটি সংযুক্ত এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে সক্ষম হবে।
পুসাগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গালিব আল হক জানান, এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক জুড়ে আলপনা আঁকা আছে। যা ভারতের নদীয়ার ফলিয়াতে।