
ছবি: সংগৃহীত
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই দিনে লক্ষ্মীর পূজা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা উদযাপন করেন। রাস পূর্ণিমা সাধারণত কার্তিক মাসে পূর্ণিমার দিন অনুষ্ঠিত হয়। এটি সৈকতে হওয়া উৎসবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।শনিবার রাস উৎসব ও মেলা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মণ্ডল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন কমিটি ও কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজল বরন দাস।
আয়োজকরা জানান, প্রতি বছরই শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসব ও রাসমেলা উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়। এ বছরও আগামী ৪ নভেম্বর থেকে রাসমেলা ও রাস উৎসব শুরু হবে, যা চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
সভায় রাস মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, দর্শনার্থীদের সেবা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রতি বছরই কুয়াকাটার নীল সমুদ্রজলে গঙ্গাস্নান উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু, সন্ন্যাসী, রাসভক্ত ও হাজারো দর্শনার্থীর আগমন ঘটে, যা কুয়াকাটার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।
কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, আমরা উদযাপন কমিটি একত্রিত হয়ে মিটিং করেছি। এই পূজাটা মূলত আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একটি উৎসবে পরিণত হয়। এখানে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণ গোত্রের লোকজন এই উৎসব দেখতে আসে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি হয় বিশেষ করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন বাড়ে। তাই আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে বাড়তি নিরাপত্তা এবং সুন্দর সুশৃঙ্খলা উপহার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আগামী চার নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের উৎসব চলবে। তবে এই কার্যক্রম আমাদের এখন থেকে শুরু হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের বাড়তি জোগান দেয় এই রাস উৎসব। এই উৎসব কেন্দ্র করে এখানে দোকানিদের সংখ্যা বাড়ে পর্যটক বাড়ে লোকাল সমাগম বাড়ে এক কথায় পুরো সমুদ্র সৈকত এলাকায় থমথমে পরিবেশে তৈরি হয়। তাই আমরা নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। থানা পুলিশ, নৌপুলিশ উপজেলা প্রশাসনসহ কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আশা করি আমরা এ বছরও সুষ্ঠু এবং সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারবো।