Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে কি ঘটেছিল

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আপডেট: ০২:০১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

প্রিন্ট:

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে কি ঘটেছিল

ঢাকা : ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বিশ্বে ভ্যালেন্টাইন`স ডে হিসাবেই বেশি পরিচিত। বাংলাদেশেও বেশ কিছুদিন ধরে ভালোবাসার দিবস হিসাবে দিনটি পালন করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকেই এই দিনটিকে পালন করেন স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে।

সামাজিক মাধ্যমে অনেকে এই দিবসটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে বর্ণনা করছেন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড.মজিদ খানের ঘোষিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

সে বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয় ছাত্র সংগঠনগুলো।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেয়ার শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত একটি কর্মসূচী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ওই সমাবেশ ডাকে।

কিন্তু সেখানে পুলিশ গুলি করলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সাবেক ছাত্রনেতা ও ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক মোশতাক হোসেন বিবিসিকে বলছিলেন, ``সেদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫০জন নিহত হয়েছিল বলে আমরা ধারণা করি। কিন্তু দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাকি মৃতদেহগুলো গুম করে ফেলে। তাদের স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে স্বজনদের কোন খোঁজ আর পাননি।``

তবে হতাহতের এই সংখ্যার বিষয়ে তখন সরকারিভাবে কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি।``সেদিন থেকে এই দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে বলা হয়``, বলছেন মি. হোসেন।

ছাত্রসমাজের দাবি ছিল একটি অবৈতনিক বৈষম্যহীন শিক্ষানীতি। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান যে নীতি ঘোষণা করেন, সেখানে বাণিজ্যিকীকরণ আর ধর্মীয় প্রতিফলন ঘটেছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। তাই শুরু থেকেই ওই নীতির বিরোধিতা করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিবিসি বাংলা

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer