ঢাকা : স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ) মঙ্গলবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড বা কৃষি পুরস্কার ২০১৭ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেওয়া হচ্ছে এই পুরস্কার। দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ন অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় পর্যায়ে পুরস্কারটি দেওয়া হবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অব করপোরেট এফেয়ার্স, বিটপী দাশ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের (বিবিএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারে সাতটি ক্যাটাগরিতে অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড বা কৃষি পুরস্কার ২০১৭ দেওয়া হবে। ক্যাটাগরি বা শ্রেণিগুলো হচ্ছে-বছরের সেরা পুরুষ কৃষক, বছরের সেরা নারী কৃষক সেরা উদ্ভাবন ও গবেষণা সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সেরা সমর্থণ/সহায়তা ও বাস্তবায়ন সহযোগী সংগঠন, কৃষি খাতের প্রযুক্তির সেরা ব্যবহার, সেরা কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক এবং বছরের সেরা কৃষক (সাবসিস্ট্যান্স মার্কেট ফার্মার গ্রুপ)।
সংবাদ সম্মেলনে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের কান্ট্রি হেড বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন, “চতুর্থবারের মত এই পুরষ্কার প্রদানের আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আশাবাদী এই পুরষ্কারের মাধ্যমে আমরা সেই সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করতে পারবো যারা বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন।” তিনি আরো বলেন, “গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের কৃষি খাত অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। দেশের কৃষি খাতের সাথে প্রবীনতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা এবং এই অগ্রযাত্রায় অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড এবং আমাদের অন্যান্য উদ্যোগ দ্বারা যুক্ত থাকতে পেরে আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করি।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের (বিবিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম এই পুরস্কার প্রদানের নেপথ্য দর্শনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, টেকসই উপায়ে খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বের কাছেই একটি বড় দৃষ্টান্ত। সে জন্য দেশের যেসব কৃষক ও কৃষি-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যের চাহিদা পূরণে নিরলস খাদ্যশস্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম আরো জানান, ‘অতীতে প্রতিবারই স্বচ্ছতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখেই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি ইতিমধ্যে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই প্রতিশ্রুতির আলোকে এবারও পুরস্কার বিজয়ীদের বাছাই করে নেওয়া হবে। এ জন্য অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ দিতে সারা দেশ থেকে নমিনেশন বা মনোনয়ন আহ্বান করা হয়েছে। সে অনুযায়ী যেসব আবেদন পাওয়া যাবে সেগুলো থেকে প্রাথমিকভাবে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে। এর পরে ওই তালিকা ধরে নমিনেশন বা মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের ও প্রতিষ্ঠানগুলো স¤পর্কে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলবে। এ জন্য থাকবে এক্সপার্ট জুরি সেশন বা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড। এর পরে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হবে। সব শেষে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।
তিনি জানান, কৃষক ক্যাটাগরির পুরস্কার বিজয়ীদের প্রত্যেককে একটি ক্রেস্টসহ ৫ লাখ টাকার প্রাইজমানি দেওয়া হবে, যাতে তারা কৃষি খাতে তাদের কার্যক্রম ও অবদান আরো বাড়াতে পারেন। এছাড়া প্রত্যেক অনারেবল ম্যানশনেরা (Honorable Mention) প্রত্যেকেই ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন গত বছরের সেরা পুরুষ কৃষক হিসেবে পুরস্কার বিজয়ী মো. আব্দুল সাত্তার সানা, বছরের সেরা নারী কৃষক হিসেবে পুরস্কার পাওয়া হোসনে আরা বেগম। তারা নিজেদের সফলতার গল্প এবং প্রাইজমানি হিসেবে পাওয়া অর্থ কীভাবে তাদের কর্মকান্ড সম্প্রসারণে ব্যবহার করেছেন তা তুলে ধরেন। বিজয়ীদের হাতে আগামী নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ তুলে দেওয়া হবে।
মনোনয়ন পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৬৭১৩৬৬৫৪৪, ০১৭৪৩৮৩৬৬০৮; ইমেইল [email protected] ; ভিজিট bbf.digital/agrowaward17