চট্টগ্রাম : জেলার সন্দ্বীপ পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি। গত কয়েকসপ্তাহে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ধারাবাহিকভাবে এসব চুরি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে এসব চুরি হচ্ছে।
সন্দ্বীপের বাগেরহাট অর্থাৎ পৌর ৬ নং ওয়ার্ডে দোকান ভেঙ্গে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির প্রায়ই দেড় লাখ টাকার সম্পত্তি নিয়ে গেছে,বিভিন্ন ঘরের সৌর বিদ্যুত প্যানেল চুরি হচ্ছে। গত ১৮ নভেম্বর পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের দুলামিয়া মুক্তার বাড়িতে ২ ঘরের সিঁদেল কেঁটে দামি জিনিস এবং টাকা পয়সা নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের ফরিরের গো-তেমাথা এলাকায় গত পরশু ১৭ নভেম্বর রাতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল এক যোগে ৭টি দোকানের তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটায়। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায়, মোঃ রাশেদ নামে একজনের দোকান হতে একটি মোটর বাইক, একটি ল্যাপটপ ও নগদ এগার হাজার টাকাসহ অন্যান্য জিনিস চুরি হয়েছে। অন্যান্য দোকান থেকে কি কি চুরি হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলটি রোববার উত্তর সন্দ্বীপ আকবর হাটের পাশের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। খালের পানিতে মোটসাইকেলের টায়ার দেখে স্থানীয় জনগন পানিতে ডোবা মোটর সাইকেলের বিষয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয় যা এখন সন্দ্বীপ থানায় আছে বলে জানা যায়। ল্যাপটপ ও চুরি যাওয়া টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা জানা যায়, ফকিরের গো তেমাথার আশেপাশে কয়েক জায়গায় নিয়মিত গাঁজা ও ইয়াবার আসর বসে। স্থানীয় প্রশাসন এসব জেনেও এরা প্রভাশালী হওয়ায় তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না।
সন্দ্বীপ পৌরসভায় ও ইয়াবার ব্যবসা জমজমাট এক শ্রেণির নেতাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থাকা লোকদের দ্বারা ইয়াবা বিক্রি করা হয়। পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের মন্নান টেক, অলিমন্দের গো এলাকা,পৌর মার্কেটের পশ্চিম পাশে তেগবাজ এলাকা, কার্গিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে রাতে নিয়মিত ইয়াবা আসক্তদের আসর বসে।
স্থানীয় জনগণের মতে এসব নেশাগ্রস্তদের দ্বারাই বিভিন্ন দোকান লুটপাট, ঘরে ঘরে চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকজন উদ্যেগ উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। একশ্রেণির প্রভাবশালী লোকদের মদদের কারণে ইয়াবা আসক্তদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।পৌর এলাকার ছাত্র এবং যুবক ছেলেরা ধ্বংসের ধারপ্রান্তে।
স্থানীয় জনগন ও ব্যবসায়ীদের ধারনা এসব গাঁজাখোরদের এবং ইয়াবা আসক্তদের দ্বারাই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হলে চোরদের ধরা সম্ভব হবে।
বহুমাত্রিক.কম