ছবি : বহুমাত্রিক.কম
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ন্যাশনাল টি কোম্পানীর (এনটিসি) পাত্রখোলা চা বাগানে কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে চা বাগান শ্রমিকরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে।
শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ চা বাগানের ড্রেসারকে অপসারণ ও কম্পাউন্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করে।
চা বাগান শ্রমিকরা জানান, পাত্রখোলা চা বাগানের অফিস পিয়ন মিন্টু পানিকা (৪৫) শারীরিকভাবে অসুস্থ্যতা জনিত কারনে চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাগানের হাসপাতালের কম্পাউন্ডার খোকন কূর্মী এর মাধ্যমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালে তাকে তিন দিন রাখার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য রেফার করেন। তবে মিন্টু পানিকার চিকিৎসার দায়িত্বাধীন কম্পাউন্ডার খোকন কূর্মী ও ড্রেসার রনজিত পাল গাফিলতি করে তাৎক্ষনিক সিলেটে প্রেরণ না করে চা বাগানে ফেরত নিয়ে আসেন। চা বাগানে আনার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ৮দিন পর ১২ জানুয়ারী শুক্রবার বিকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে ঐ রাতেই সে মারা যায়।
পাত্রখোলা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন কর্মবিরতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চা বাগানের কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারের চিকিৎসা অবহেলার গাফিলতির কারনেই রোগী মারা গেছে। এ কারনেই মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে। তবে বাগানের ম্যানেজমেন্ট ড্রেসার রনজিত পালকে অপসারন ও কম্পাউন্ডার খোকন কূর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে দুপুর ১২টায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. শামসুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্ মিন্টু পানিকার চিকিৎসায় কোন ত্রুটি করা হয়নি। বাগানের কম্পাউন্ডারকে দায়িত্ব দিয়ে যথাসময়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে গাফিলতির কারনে বাগানের ড্রেসার ও কম্পাউন্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বহুমাত্রিক.কম