বগুড়া : বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন এবং ভয় দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
অনার্স পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে শাজাহানপুর থানায় ওই আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষিতা ওই ছাত্রী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তিনি প্রেমের প্রস্তাব ও পরে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। বাবা এবং ভাইয়ের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে তাকে জিম্মি করা হয়। গত এক বছর তাকে কক্সবাজার, রাজশাহী এবং বগুড়া পর্যটন মোটেলে এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।’
এতে আরও অভিযোগ করা হয়, ‘গত ১৫ জুলাই তাকে বগুড়া পর্যটন মোটেলের ৩১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট রাজশাহী পর্যটন মোটেলের ২০৩ নম্বর কক্ষে নিয়েও ধর্ষণ করা হয়। এরপর থেকে চেয়ারম্যান মোরশেদুল তাকে বিয়ে করতে তালবাহানা করছেন। নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন। এছাড়া মেয়েটি আরও জানায়, এমামলা দায়েরের ফলে নানা ভরনের হুমকি আসছে। বিধায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে পুলিশ মামলা রেকর্ড করে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে। নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুর রহমান জানান, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল; বিয়ে না করায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ মামলা নেয়া হয়েছে; আর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম
