Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:২২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

আপডেট: ১০:৫১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

প্রিন্ট:

নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ

ঢাকা : বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন মামলার রায়ে কাউন্সিলর নুর হোসেন এবং সাবেক র‍্যাব অধিনায়ক তারেক সাঈদসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।৩৫ জন আসামীর বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় তিন বছর পর রায় হলো চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এই মামলার।২০১৪ সালের এপ্রিলের ঐ ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের একজন কাউন্সিলর এবং একজন আইনজীবীসহ সাতজনকে হত্যা করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল র‍্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন সদস্য এবং একজন সাবেক কাউন্সিলর।

২০১৪ সালের এপ্রিলের ২৭ তারিখ আদালত থেকে ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জন এবং তার আইনজীবী চন্দন সরকার ও মি. সরকারের ড্রাইভারকে অপহরণ করা হয়।

এর তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।ঐ ঘটনা সেসময় সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয় এবং এই অপহরণ এবং হত্যার সাথে বিশেষ বাহিনী র‍্যাবের সেখানকার কর্মকর্তা ও সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রকাশ পায়।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ওয়াজেদ আলী জানিয়েছেন, ঐ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর একটি করেন নিহত মি. ইসলামের স্ত্রী এবং অপরটি আইনজীবী মি. সরকারের জামাতা।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে দুই মামলার কার্যক্রম একইসাথে চলে এবং আজ একইসাথে দুটি মামলার রায় দেয়া হল।

এই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর আট মাসে ৩৮ কার্যদিবসে এই মামলাটির কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছেন দুজন, তাদের মধ্যে একজন তৎকালীন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক এবং পরবর্তীতে বরখাস্তকৃত ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল তারেক সাঈদ এবং অপরজন কাউন্সিলর নুর হোসেন।

সেনা কর্মকর্তা তারেক সাঈদ সরকারের একজন মন্ত্রীর জামাতা হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও বেশ আলোচনা হয়। পরবর্তীতে সেনানিবাস থেকে মি. সাঈদসহ আরো একজন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কিন্তু এরই মধ্যে ভারতে পালিয়ে যান অপর আলোচিত অভিযুক্ত নুর হোসেন। ঐ বছরই জুনে কলকাতা থেকে নুর হোসনকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ। আর ২০১৫ সালের নভেম্বরে তাকে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযুক্তদের মধ্যে ২৩ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। যাদের মধ্যে ১৭ জন র‍্যাব সদস্য এবং বাকি ৬ জন নুর হোসেন এবং তার পাঁচজন সহযোগী বলে জানিয়েছেন মি. আলী।

কারাগারে থাকা ২৩ জনের মধ্যে র‍্যাব কর্মকর্তারাসহ মোট ২১ জন ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।

বিবিসি বাংলা

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer