ছবি: বহুমাত্রিক.কম
দিনাজপুর : দিনাজপুর রেল স্টেশনে ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের খপ্পরে পরে রেলযাত্রীরা সবকিছু খোয়াচ্ছেন। দিনাজপুর রেল স্টেশন ও আশে পাশের এলাকায় রেলযাত্রীদের অনেকেই প্রকাশ্যে ছিনতাইকারীর কবলে পড়লেও বাঁচাতে এগিয়ে আসছেন না কেউ।
এই অপকর্ম দেখেও না দেখার ভান করে থাকে রেল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রেলওয়ে পুলিশ। এই অপর্কমের ঘটনা পূর্বে স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্রে একাধিক বার সংবাদ প্রকাশ হলেও তা খতিয়ে দেখিনি রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে দিনদিন তা না কমে বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডিবি পুলিশ, পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের ভূয়া পরিচয় দিয়ে ছিনতাইকারীরা গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষদের স্টেশন কিংবা আশেপাশের আটক করে ধমকের সুরে প্রশ্ন করা হয়। দেখানো হয় নানা ভয়ভীতি। যেমন আপনার নামে অভিযোগ রয়েছে, আপনাকে থানায় যেতে হবে, আপনিতো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য-এভাবে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে রেল যাত্রীদের ব্যাগ, মোবাইল, টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়।
ঘটনার সময় কেউ পাশে দাড়াঁলে তাকে ধমক দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলা হয়। ভুক্তভোগিরা সর্বস্ব হারিয়ে চোখের জ্বল মুছে অভিশাপ দিয়ে চলে যান। ঝামেলা এড়াতে থানায় অভিযোগ করাকে শ্রেয় মনে করেন না ভুক্তভোগীরা। আবার অনেকে ডায়েরি করতে সাহস পান না সন্ত্রসীদের ভয়ে।
অন্যদিকে ওষুধ ও তাবিজ বিক্রয়ের নামে স্টেশন চত্ত্বরে কিছু প্রতারক স্থায়ী ভাবে অবস্থান করছে। এসকল চিহ্নিত টাউট বাটপারদের প্লাটর্ফমসহ স্টেশন চত্বর ও আশপাশের হোটেল চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা যায়। মিশনরোড থেকে টিএন্ডটি মোড় হয়ে বাহাদুর বাজার মোড় পর্যন্ত এই টাউট প্রতারকরা রামরাজত্ব করছে।
তারা স্থানীয় চা-পানের দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় দেয় না। চা পান বা সিগারেট নিয়ে টাকা দেয়না তারা টাকা চাইলেই দোকান মালিকদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। তবে তাদের মূল টার্গেট হলো রেল যাত্রী জানান স্থানীয় দোকানদাররা।
এই চিহ্নিত সন্ত্রসী যুবকরা মাদকাসক্ত প্রকৃতির। আবার কেউ কেউ ভালো পরিবারের শিক্ষিত যুবক ও ক্ষমতাবান। দীর্ঘদিন থেকে দিনাজপুর রেল স্টেশন ও আসে পাশের এলাকায় এদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী মহল যারা এদের সহায়তা দান করে ও পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেয়। ঘটনাটি তদন্তকরে এদের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
বহুমাত্রিক.কম