ছবি : বহুমাত্রিক.কম
ঠাকুরগাঁও : দিনে ভালো চিত্র দেখা গেলেও রাতে পাল্টে যায় ব্রিজের চিত্র। দিনের বেলা থাকে আলো আর রাতে থাকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেই অন্ধকারে আতঙ্ক ছিনতাইকারীদের। এমনি ২টি ব্রিজ ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ও সেনুয়া ব্রিজ।
রাত বাড়তে থাকলেই ওই ব্রিজগুলো চলে যায় ছিনতাইকারীদের দখলে। তাই রাতে এই ব্রিজের পাশে যেতে ভয় পায় পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ২টি ব্রিজের মাথায় নেই কোন আলোর ছায়া। দিনে মানুষের পদচারণায় মুখরিত ঠাকুরগাঁওয়ের এই ব্রিজগুলো রাতে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যার প্রধান কারণ পতিতা আর ছিনতাইকারীদের অবাধ বিচরণ।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্রিজের ধারে গিয়ে দেখা যায়, শহরের জেল গেটের পিছনে অবস্থিত টাঙ্গন ব্রিজের মাঝে নেই কোন আলোর ছায়া। অন্ধকারে শুধু শোনা যাচ্ছে কিছু মানুষের কথাবার্তা। গা ছমছম সেই ব্রিজে সাধারণ মানুষের যাতায়াত না থাকলেও ধবধবে মেকাপে কিছু নারীর উপস্থিতি চোখে পড়ে।
সেনুয়া ব্রিজে এক ব্যবসায়ির জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসায় চলে যাই। কারণ বেশি রাত হলে বাসায় যাইতে সমস্যা হয়। এই ব্রিজের উপরে নানা রকমের খারাপ ছেলেরা বসে আড্ডা দেয়।
বরুনাগাঁও এলাকার বাসিন্দা রামবাবু জানান, ব্রিজের ঐ পাড়ে আমি ছোট খাটো একটি ব্যবসা করি। বাসায় আসতে কোন সময় দেরি হয়। ব্রিজের উপরে দিয়ে আমাকে আসতে লাগে । কিন্তু ব্রিজের নেই কোন লাইট। কখন যে কি হয় সেই আতঙ্কে থাকি।
রাস্তায় চলার পথে কথা হয় আরিফ হোসেন নামে এক পথচারির সঙ্গে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমি ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি। তখন বাজে হয়তো রাত ১০টা। এমন সময় আমি সেনুয়া নদীর পাশ দিয়ে বাসায় যাবার পথে কিছু ছেলেরা আমার কাছে এসে আমার কাছ থেকে আমার টাকা পয়সা মোবাইল ফোন কাড়ে নেয়। জীবন বাঁচার তাগিয়ে আমি তাদেরকে সব কিছু দিতে বাধ্য হই। আলো না থাকার কারনে কাউকে চিনতে পারিনাই।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন জানান, পৌর এলাকায় আমরা রাতের বেলায় রাস্তায় বাতি ব্যবহার করছি। দ্রুত ব্রিজে লাইট লাগানো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, শহরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সব সময় সজাগ থাকে। প্রতিদিন এসব এলাকায় পুলিশী টহলের ব্যবস্থা রয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম