ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি গোয়েন্দা ড্রোন ইরান ভূপাতিত করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র রূপ নিয়েছে। এর জেরে হরমুজ প্রণালীর ওপর দিয়ে প্লেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (এফএএ)।
সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সগুলো এড়িয়ে চলছে হরমুজ প্রণালীর আকাশসীমা। এতে সেসব ফ্লাইট গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগছে বাড়তি সময়।শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ইরানের ভূখণ্ডে ‘অনুপ্রবেশ করার সময়’ আমেরিকান গুপ্তচর ড্রোন আরকিউ-৪ গ্লোবাল ভূপাতিত করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এটি আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে উড়ছিল। কিন্তু এ দাবি নাকচ করে ইরান বলছে, তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে।
এ নিয়ে দু’পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ বিবৃতি দিয়ে তাদের এয়ারলাইন্সগুলোকে হরমুজ প্রণালীর আকাশসীমা হয়ে উড়তে নিষেধ করে দেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়।
হরমুজ প্রণালী এমন একটি সরু জলপথ, যা পশ্চিম-উত্তরের পারস্য উপসাগরকে পূর্ব-দক্ষিণের ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এই প্রণালীই আলাদা করে দিয়েছে আরব উপদ্বীপ ও ইরানকে।
এই প্রণালীকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্য দিয়েই মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল যায় এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ বিভিন্ন জায়গায়। প্রণালীটির সবচেয়ে সংকীর্ণ যে অংশ, সেখানে ইরান ও ওমানের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় জড়ালে প্রায়ই এই প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই প্রণালীর আকাশসীমা দিয়েই তাদের ড্রোনটি উড়ছিল।
মুম্বাইগামী ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে এয়ারলাইন্সটি জানায়, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার খাতিরে এ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।