অতিমারির কারণে দুবছরের বিরতির পর আবারও কয়েক হাজার বাঙালি একছাদের তলায় একত্রিত তিন তিনটে দিন। পয়লা জুলাই হাজার হাজার বাঙালির দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। চলবে আগামী ৩রা জুলাই পর্যন্ত।
প্রবাসী বাঙালির সবচেয়ে বড় মিলনমেলা নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত সকলেরই চোখে ও মুখে লক্ষ্য করা গেছে এক আবেগপ্রবন চঞ্চলতা ও ব্যাকুলতা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথা মেনে চার দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হল। ভারত, বাংলাদেশ,আমেরিকা ও কানাডা। গুরু সঞ্চিতা ভট্টাচার্যের পরিচালনায়, প্রবীর রায়ের রচনায়, তন্ময় বসুর সঙ্গীত সৃষ্টিতে অনবদ্য নৃত্য-গীত আলেখ্য তুলে ধরল ভারতীয় নৃত্যধারার ইতিহাস।১২০ জন নবীন প্রবাসী শিল্পী এককথায় তাক লাগিয়ে দিলেন।
অনুষ্ঠান মঞ্চে বঙ্গ সম্মেলনের চেয়ার পার্সন ডাঃ কালীপ্রদীপ চৌধুরী বললেন, `আমি গর্বিত বাঙালি। কিন্তু ব্যবসায় বাঙালিকে আরও জাগতে হবে।` বঙ্গ সংস্কৃতি সঙ্ঘের চেয়ারম্যান এমেরিটাস প্রবীর রায় জানালেন কোভিড সত্বেও তাঁদের জেদ ধরে থাকার কথা,সম্মেলন করতেই হবে। এবারের আহ্বায়ক মিলন আওনের গলাতেও সেই জেদের সুর। আর যাঁর বক্তৃতায় লাইনে লাইনে হাততালি পড়ল, তিনি আমেরিকান হয়েও ঘোর বাংলাপ্রিয়। পরিপাটি শাড়ি আর রবীন্দ্র কবিতায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠা মেলিন্ডা পাভেক। কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল। মেলিন্ডা মনে করিয়ে দিলেন, ১৭৯২ সালে কলকাতায় প্রথম নিযুক্ত হন মার্কিন কনসাল জেনারেল। ভারত থেকে আসা বাঙালিদের প্রতিভা যে কতখানি সমৃদ্ধ করেছে আমেরিকাকে, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না।