করোনার কারণে দীর্ঘ ৮ মাস ৩ দিন বন্ধ থাকার পর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক নাটোরের উত্তরা গণভবন দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। গণভবন খোলা পেয়ে বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়। তবে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
নাটোর শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার উত্তরে উত্তরা গণভবন। সুনসান নীরবতা কাটিয়ে ২৩ নভেম্বর থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় ঐতিহাসিক এই স্থানটি ফিরে পেয়েছে প্রাণচাঞ্চল্যতা।
চারিদিকে মনোরম লেক, সুউচ্চ প্রাচীর পরিবেষ্টিত ছোট বড় ১২টি কারুকার্যখচিত ও দৃষ্টিনন্দন ভবন নিয়ে ৪১ একর জমির উপর অবস্থিত উত্তরা গণভবন। দেশি-বিদেশি মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য গাছসহ প্রাচীন রাজপ্রাসাদের কারুশৈলী দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
তারা বলেন, এটা খুবই সুন্দর জায়গা। এখানে আসলে পুরনো ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
দূর দূরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসে অনেকে আনন্দঘন মুহূর্তগুলোকে স্মৃতির মণিকোঠায় ধরে রাখতে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করছেন। এছাড়া চিড়িয়াখানায় থাকা হরিণ, বানর ও পাখি আনন্দ দিচ্ছে শিশুদেরও।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের উত্তরা গণভবনে আসার অনুরোধ জানান নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ।তিনি বলেন, যারা আসেন তারা যদি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন তবে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হওয়ার সুযোগ নেই।
১৭৩৪ সালে রাজা দয়ারাম রায় এই রাজবাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৭ সালে এটি গভর্নর হাউজ হিসেবে পরিচিতি পায়। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটিকে উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন।
এখন নেই রাজা, নেই তাদের রাজত্ব। তবুও মাথা উঁচু করে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন এই স্থাপনাগুলো।