ঢাকা : ভারত জুড়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা দু’হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায় সে কারণে গত ২৫ মার্চ গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন মোদী। তখনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সরকার সংক্রমণ রুখতে কী পদক্ষেপ করতে চলেছে।
লকডাউন ঘোষণার ঠিক ৯ দিনের মাথায় শুক্রবার ফের এক বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। আগের ভাষণে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী। সেই সঙ্গে সংক্রমণ রুখতে সরকার কী পদক্ষেপ করতে চলেছে সেটাও জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি দেশবাসীকে এই লকডাউন মেনে চলার জন্য আহ্বান এবং পরামর্শও দেন মোদী।
লকডাউনের জেরে গোটা দেশে স্তব্ধ জনজীবন। পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের ঘরে ফিরতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন। অনেকে ৩০০-৪০০ কিমি পথ হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও উপচে পড়ছে ভিড়। বৃস্পতিবারই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। লকডাউনের পরে স্বাভাবিক ছন্দে কী ভাবে ফেরা যায় তা নিয়ে রাজ্যগুলোর কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। লকডাউনের পরে যাতে পরিস্থিতি বিগড়ে না যায়, সে দিকেও কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
লকডাউনের এই সময়ে করোনার পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যুঝতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও যতটা সম্ভব তৈরি রাখার জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। মনে করিয়ে দিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে সমস্ত সরকারেরই পাখির চোখ যত বেশি সম্ভব করোনার পরীক্ষা, রোগীদের চিহ্নিত করা এবং তাঁদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত। সঙ্গে জরুরি যাঁরা রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের নিভৃতবাসের (কোয়রান্টিন) ব্যবস্থা। দরকার যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে জোগাড়ে মন দেওয়া। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহে চিকিৎসার যে বিপুল পরিকাঠামোর প্রয়োজন পড়তে পারে, রাজ্যগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা যতটা সম্ভব তৈরি রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
-লকডাউনের নবম দিন দেশবাসী খুব শৃঙ্খলা দেখিয়েছেন
-১৩০ কোটির শক্তি সকলের সঙ্গে রয়েছেন
-লকডাউনের এর সময় আপনাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়
-আপনারা সরকারের আবেদনে যে ভাবে সাড়া দিয়েছেন, তা এক কথায় অভূতপূর্ব
-৫ এপ্রিল সকলের থেকে ন’মিনিট চাইছি। ওই দিন রাত ন’মিনিট ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিন
-ওই সময় ঘরের সামনে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ, মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাবেন
-এতে বোঝা যাবে সকলে একসঙ্গে লড়ছে
-দুনিয়ার কোনও শক্তি আমাদের হারাতে পারবে না
-লকডাউনে ঘরে থাকলেও কেউ একা নন
-করোনার বিরুদ্ধে আমরা জিতব
আনন্দবাজার পত্রিকা