ঢাকা : শনিবার কংগ্রসের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন রাহুল গান্ধী। তারপর অবসরে যেতে চান ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
তবে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবেন এমনটাই জানা গেছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) অবসরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
সোনিয়া গান্ধী জানান, অবসর নেওয়াই এখন তার কাজ। তবে কবে নাগাদ অবসরে যেতে পারেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
সোনিয়ার রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৯৮ সালে। রাজনীতির সান্নিধ্যে না থাকা একটি পরিবার থেকে উঠে আসা সোনিয়ার রাজনীতিতে প্রবেশ এক প্রকার বাধ্য হয়েই। রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করে ইতালি থেকে ভারতে এসেছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন একটি রাজনৈতিক একটি পরিবারে।
শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধীকে সোনিয়া দেখেছেন রাজনীতির ময়দানে দাপিয়ে বেড়াতে। ১৯৮৪-তে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর দলের নেতৃত্ব এসে পড়ে রাজীব গান্ধীর ওপর।
রাজনৈতিক পরিবেশে এসে পড়লেও রাজনীতি নিয়ে কার্যত খুব একটা আগ্রহ ছিল না সোনিয়ার। কিন্তু ঘটনাচক্রে একটা সময় সেই দায়িত্ব বর্তায় তার ওপর। আর সেটা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর সাত বছর পরে। কেননা, সে সময়ে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা দু’জনেই ছোট ছিলেন। ফলে, বাধ্য হয়েই ১৯৯৮ সালে দলের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেন তিনি। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। সেই থেকে পথচলা শুরু।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি সেই পদে থেকেই দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সোনিয়া গান্ধী। তার নেতৃত্বে কংগ্রেস পর পর দুইবার কেন্দ্রে সরকার গঠন করে। তিনিই প্রথম সভাপতি যিনি এত বছর এই পদে ছিলেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা