ছবি: সংগৃহীত
ভারত-পাক সীমান্ত অংশে বড় আকারে সামরিক মহড়া পরিচালনা করতে চলেছে ভারত। রাজস্থান ও গুজরাটের মরুভূমি অঞ্চল এবং আরব সাগরে এই সামরিক মহড়া পরিচালনা করা হবে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
এই মহড়ায় একযোগে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী অংশগ্রহণ করতে চলেছে । এর জন্য ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ দিন বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জারি হয়েছে নোটাম(নোটিশ টু এয়ার ম্যান)। অর্থাৎ যে এলাকায় এই সামরিক মহড়া চলবে, তার ওপর দিয়ে বিমান চলাচলের জন্য সতর্কতা হিসেবে এই নোটাম জারি করা হয়েছে।
গত মে মাসে পাকিস্তান এবং অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলে সন্ত্রাসী পরিকাঠামো লক্ষ্য করে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারত। এরপর থেকেই ভারত সামরিক প্রস্তুতি বজায় রেখেছে । সরকার এবং সেনার বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত অপরেশন সিঁদুর শেষ হয়নি। এটি কেবলমাত্র স্থগিত করা হয়েছে। এই আবহে পাক সীমান্ত অংশে তিন বাহিনীর এই যুদ্ধ অনুশীলন নিয়ে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে কী না তাই নিয়ে বিভিন্ন স্তরে চর্চা শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সবারই বক্তব্যে অপারেশন ২.০-র একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারই মাঝে তিন বাহিনীর এই যুদ্ধ মহড়া।
দীপাবলির সময় সীমান্তবর্তী জেলা পিথোরগড়ে সেনাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সময় ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেছিলেন, 'অপারেশন সিঁদুর ১.০ থামেনি। এই সামরিক অভিযানে যদিও গুলিবর্ষণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, তবুও লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্ভাব্য অপারেশন সিন্দুর ২.০-এর জন্য সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আবার বলেছিলেন, পাকিস্তানের ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি এখন আমাদের ব্রহ্মসের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
তার আগে অক্টোবরের শুরুতে গুজরাটের স্যার ক্রিক নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজনাথ সিং বলেছিলেন, স্যার ক্রিক এলাকায় পাকিস্তান যদি কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ করে, তাহলে তার জবাবে ভারত এমন প্রত্যাঘাত করবে, যাতে সেই দেশের ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই বদলে যাবে। পাকিস্তানকে মনে রাখতে হবে, এই খাঁড়ি হয়েই করাচি যাওয়ার পথ রয়েছে ।




