
ছবি: সংগৃহীত
আদালতের রায়ের আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।বৃহস্পতিবার রাতে তিনি পালিয়ে যান। ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতের রায়ে তার কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। তাই থাইল্যান্ডের অনেকেই ফ্লাইটের খোঁজখবর রাখছিলেন, তাদের ধারণা ছিল যেকোনো সময় থাকসিন পালিয়ে যেতে পারেন। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। বিমানবন্দরে থাকসিনকে থামিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। তবে তিনি মেডিকেল এমারজেন্সি দেখিয়ে দুইদিনের জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার আবেদন করেন।
কর্মকর্তারা জানান, তার দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি আদালত। তাই তাকে আটকানো হয়নি।
থাকসিন পালিয়ে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় ওঠে। অনেকে বলতে থাকেন, সিঙ্গাপুরের নাম করে দুবাই চলে যাবেন তিনি। সেখানে সেচ্ছা নির্বাসনে থাকতে পারেন।
থাইল্যান্ডের জাতীয় রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবার বহু বছর ধরেই প্রভাবশালী। ২০০১ সালে থাকসিন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ২০০৫ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে এক বছরও পূর্ণ করার আগেই, ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে তার সরকার পতিত হয়।
এরপর তিনি লন্ডনে পালিয়ে যান। থাকসিন বিদেশে থাকলেও থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে তার প্রভাব অব্যাহত থাকে। তার পরিবারের অন্তত ছয়জন সদস্য এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে তার কন্যা পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে চলতি বছরের আগস্টে আদালতের আদেশে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।