
ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ইতিহাসের জন্য দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জামায়ােতর উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষ-ত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে আসেন। একদিকে বলেন পিআর না হলে নির্বাচনে যাবো না, অন্যদিকে বলেন গণভোট না হলে নির্বাচনে যাবো না।
তিনি বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নয়, শেখ মুজিবের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দিল্লির প্ররোচনায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবারও আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে এই সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে। আর নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি।
ফারুক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।
তিনি বলেন, এদেশের জনগণ জানে শহীদ জিয়ার দল যতবারই ক্ষমতায় গিয়েছে, জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। তারেক রহমানের যে আত্মত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, তাহলে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
সভায় তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।