Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

আশ্বিন ২ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুর্ভিক্ষের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য: জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রিন্ট:

দুর্ভিক্ষের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য: জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

ছবি- সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করেছে জাতিসংঘ। এর ফলে সেখানে বাড়তে পারে ভয়াবহ সংকট। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা প্রকাশ পেয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক জান্তা বাহিনী ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত মিয়ানমারে একটি মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে, যা পশ্চিম রাখাইনকে ‘অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের কিনারায়’ ঠেলে দিতে পারে। 

রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব দুর্যোগ’ উল্লেখ করে ইউএনডিপি বলেছে, পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা, চরম মূল্যস্ফীতি, জীবিকার ক্ষতি, কৃষি উৎপাদন হ্রাস এবং জরুরি সেবার অভাবে ‘একটি নিখুঁত ঝড়’ তৈরি হচ্ছে। জরুরি পদক্ষেপ না নিলে রাজ্যটির প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ ‘জীবন রক্ষার লড়াইয়ে’ পিছিয়ে পড়বে। অত্যন্ত বিপন্ন এই জনগোষ্ঠী সামনের মাসগুলোতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার বহুদিন ধরেই রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশ থেকে আসা ‘বাঙালি’ হিসেবে দেখে আসছে। যদিও তাদের পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে দেশটিতে বসবাস করছে। ১৯৮২ সাল থেকে প্রায় সবাইকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা দেশীয় উৎপাদনে ব্যাপক হ্রাস, চরম মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাপক বেকারত্ব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিজেদের মতো করে টিকে থাকতে বাধ্য হবে।

ইউএনডিপি তাদের ২০২৩ ও ২০২৪ সালের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে জানায়, রাখাইনের অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে গেছে। সেখানে বাণিজ্য, কৃষি ও নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো প্রায় স্থবির অবস্থায় রয়েছে। অবরোধের কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকায় মানুষের আয় কমে গেছে এবং একই কারণে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া সিমেন্ট আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘ব্যাপক দাম বেড়েছে’ এবং চাকরির প্রধান কর্মস্থল হিসেবে পরিচিত নির্মাণশিল্পও অচল হয়ে পড়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রাখাইনের অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন সেখানকার চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে। খবর এপি ও ইরাবতীর। 

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables