ফাইল ছবি
শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচলের উদ্যোগ নিলেও তা আপাতত শুরু হচ্ছে না। আজ বিকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সপ্তাহের এই দিনটিতে(শুক্রবার) মেট্রোরেল পরিচালনা করতে আরও সময় নিতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড(ডিএমটিসিএল)। চালু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহের ছয়দিন( শনিবার-বৃহস্পতিবার) মেট্রোরেল চলাচল করছে
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। ডিএমটিসিএলের এমআরটি-৬ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) মোহাম্মদ জাকারিয়া এসব তথ্য জানান।
সরকারের এ অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে যথেষ্ট কনফিউশন আছে। আমাদের পক্ষ থেকে কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে কখনও বলে নাই যে এই শুক্রবার থেকে মেট্রোরেল চলাচল করবে।’
ডিএমটিসিলের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার মেট্রোরেল চালাতে গেলে অনেক ধরনের প্রস্তুতি দরকার। এদিন স্টেশনগুলোতে মাত্র একজন কর্মকর্তা থাকেন। এখন শুক্রবার মেট্রোরেল চালাতে গেলে যারা টিকিট বিক্রি করেন, কিংবা ট্রেন অপারেটর, স্টাফ সবার কর্মঘণ্টার পুনর্বণ্টন করতে হবে। ডিউটি রোস্টারও করতে হবে।’
ডিএমটিসিএলের কর্মীরা প্রতি কর্মদিবসে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেট্রোরেল স্টেশনে কর্মরত থাকেন। সম্প্রতি মেট্রোরেলের অধস্তন কর্মচারীরা বেতনভাতা ও যাবতীয় সুযোগ সুবিধাসহ সার্ভিস রুল প্রণয়ন করতে ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপে রেখেছেন।
তাই শুক্রবার মেট্রোরেল চালাতে গেলে তাদের ওভারটাইম দেয়া হবে নাকি কর্মীদের কর্মঘণ্টার পুনর্বণ্টন করা হবে এ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘শুক্রবার মেট্রোরেল চালাতে কাজ জোরেশোরে চলছে। আশা করছি আগামী ২০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা তা করতে পারবো। সবকিছু গুছিয়ে নিয়েই শুক্রবার মেট্রোরেল পরিচালনা করতে চাই।’
রাজধানীর উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার মেট্রোরেল চলাচল করে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চলে। ডিএমটিসিএল-এর হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৭৫ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন।