ছবি- সংগৃহীত
বৃষ্টি না হওয়ায় রাঙামাটির সড়ক থেকে নেমে গেছে পানি। এতে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দুদিন পর সাজেক আটকে থাকা তিন শতাধিক পর্যটক ফিরে গেছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। ভারি বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালায় কালভার্ট ও বাঘাইহাটে রাস্তা ডুবে যাওয়ার পর দুদিন আটকে ছিলো পর্যটকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে পর্যটকবাহী গাড়ি ছেড়ে গেছে। আবার খাগড়াছড়ি থেকে ২০টির বেশি পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেকের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার সাজেক বেড়াতে গিয়ে অতি বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার প্রধান সড়কের একটি কালভার্ট ডুবে গিয়েছিল। ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু সাজেকে দীঘিনালা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, সেজন্য সাজেকের যাতায়াতের পথও বন্ধ হয়ে যায়।
দুদিন পর পানি কমে আসায় আবারও সাজেকের সাথে যাতায়াত শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়ি সাজেক কাউন্টারের লাইনম্যান মো. আলম বলেন, দুদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে সাজেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকালে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২০-২৫টি গাড়ি সাজেকের উদ্দেশে খাগড়াছড়ি ছেড়ে গেছে। বাঘাইহাট রাস্তা থেকে পানি নেমে গেছে বলে জানতে পেরেছি, তাই আমরা গাড়ি চলাচল শুরু করেছি।
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জয় মারমা জানান, বুধবার (৯ আগস্ট) থেকে বৃষ্টি না হওয়ার সড়ক থেকে পানি সরে যাওয়া সকাল থেকে সাজেক থেকে আটকে পড়া পর্যটকরা খাগড়াছড়ির উদ্দেশে বের হয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে আসা গাড়িতে আজ নতুন পর্যটক সাজেকে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার বলেন, রাস্তা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আজ সকাল থেকে সাজেকে পর্যটক চলাচল শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য জেলাসমূহে টানা ভারি বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে খাগড়াছড়ি-সাজেক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাজেকে আটকা পড়েছিলো তিন শতাধিক পর্যটক।