ফাইল ছবি
টুর্নামেন্টজুড়ে ধারাবাহিকতার দারুণ নজির দেখিয়ে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন ভিরাট কোহলি। মাঝপথে সুযোগ পেয়ে বল হাতে আগুন ঝরিয়ে বোলারদের তালিকার শীর্ষে মোহাম্মদ শামি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে যাত্রা শুরু করা কোহলি একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচে করেছেন ৫৪ রান। মাঝের নয় ইনিংসে আরও চারটি ফিফটির সঙ্গে তিনি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন তিনবার। সব মিলিয়ে ১১ ইনিংসে ৯৫.৬২ গড়ে তিনি করেছেন ৭৬৫ রান। আর কোনো ব্যাটসম্যান ৬০০ রানও করতে পারেননি।
টুর্নামেন্টের এক আসরে এটিই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে ৬৭৩ রান করেছিলেন সাচিন টেন্ডুলকার। তাকে ছাড়িয়ে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে সাতশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কোহলি।
সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৭ রানের ইনিংসের সৌজন্যে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হন কোহলি। তিনি টপকে যান এই সংস্করণে ৪৯ সেঞ্চুরি করা টেন্ডুলকারকে।
বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলার রেকর্ডেও টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি। ২০০৩ বিশ্বকাপে ৭টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিলেন টেন্ডুলকার। গত বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানও গড়েছিলেন একই কীর্তি।
টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯৭ রান করেছেন কোহলির সতীর্থ রোহিত শার্মা। এছাড়া পাঁচশ ছোঁয়া অন্য পাঁচ ব্যাটসম্যান হলেন কুইন্টন ডি কক (৫৯৪), রাচিন রবীন্দ্র (৫৭৮), ড্যারেল মিচেল (৫৫২), ডেভিড ওয়ার্নার (৫৩৫) ও শ্রেয়াস আইয়ার (৫৩০)।
বোলারদের মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতায়ই পড়তে হয়েছে শামিকে। দলীয় কম্বিনেশনের কারণে প্রথম চার ম্যাচ বেঞ্চেই ছিলেন তিনি। পঞ্চম ম্যাচ থেকে সুযোগ পেয়ে স্রেফ ৭ ইনিংসে ২৪ শিকার ধরে সবার ওপরে বসেছেন ৩৩ বছর বয়সী পেসার।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম পর্বের ম্যাচ দিয়ে সুযোগ পান শামি। প্রথম ম্যাচেই তিনি ধরেন ৫ শিকার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আবার তিনি নেন ৫ উইকেট।
শামির সেরা বোলিং দেখা যায় সেমি-ফাইনালে। কিউইদের গুঁড়িয়ে সেদিন তিনি ৫৭ রানে নেন ৭ উইকেট। বিশ্বকাপ তো বটেই, ওয়ানডেতেই ভারতের সেরা বোলিং এটি। ফাইনালে ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করে বোলারদের মুকুট অর্জন করেন তিনি।
এই সাফল্যের পথে ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন শামি। বিশ্বকাপের এক আসরে প্রথম বোলার হিসেবে তিনবার নেন ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে তার ৫ উইকেট ৪টি, এটিও রেকর্ড।
উইকেটের তালিকায় শামির খুব কাছেই ছিলেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। শেষ ম্যাচে ১টিসহ ১১ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার নেন ২৩ উইকেট। বিশ্বকাপের এক আসরে স্পিনারদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। ২০০৭ আসরে মুত্তিয়া মুরালিধরন ১০ ইনিংসে ধরেছিলেন ২৩ শিকার।