ঢাকা : ফণীর প্রবাহ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো শুরু হয়েছে দাবদাহ। মঙ্গলবার প্রথম রোজা শুরু হয়েছে। এদিকে, রমজানের শুরুতেই রাজধানীসহ সারা দেশেই প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। এই গরম থাকবে আরো তিন-চার দিন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
সোমবার দেশের বেশির ভাগ স্থানের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, নীলফামারী, দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে, যা দাবদাহ হিসেবে পরিচিত।
চলতি মে মাসের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই মাসে বঙ্গোপসাগরে দু`টি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি কালবৈশাখী এবং অন্যান্য স্থানে চার থেকে পাঁচটি বজ্রসহ ঝড়ের আশঙ্কা আছে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুইটি এবং অন্যান্য স্থানে দুই থেকে তিনটি দাবদাহ হতে পারে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, এপ্রিল ও মে হচ্ছে বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। সাধারণত এই সময়ে একটি ঘূর্ণিঝড় ও একাধিক নিম্নচাপ তৈরি হয়ে থাকে।
আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে আরিফ হোসেন বলেন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং দেশের মধ্যাঞ্চলে দাবদাহ শুরু হয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন এই দাবদাহ চলতে পারে, যা দেশের নতুন নতুন এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে।
গত এপ্রিল মাসের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত এপ্রিলে সারা দেশে গড়ে ২০ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। তবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।