ছবি : বহুমাত্রিক.কম
ময়মনসিংহ : জাল সনদপত্র দিয়ে শিক্ষকের চাকুরি নেয়ার কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ায় সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চলছে। যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল সনদধারী শিক্ষক চাকরি করেছেন অবিলম্বে তাদের তালিকা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে প্রধান শিক্ষকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জমান।
সময়মত জাল সনদের তালিকা পাঠাতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের জাল সনদ পাওয়া গেলে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের এমপিও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মাউশি মহাপচিালক।
শুক্রবার গভর্ণমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল অডিটরিয়ামে শিক্ষার মানোন্নয়নে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জমান এসব কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত ) এস এম আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মোতালেব প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মাউশি পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে সম্পর্ক আরো গভীর করতে হবে। তিনি স্ব- প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়নের নির্দেশ দেন। তিনি দক্ষ, যোগ্য ও ভালো শিক্ষকদের প্রশংসা এবং যথাযথ মূল্যায়ের আহবান জানান।
পরিচালক অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মোতালেব কোচিং বাণিজ্য বন্ধের সরকারী সিদ্ধান্ত প্রথম পর্যায়ে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শুরু করার আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ জেলার সরকারী কলেজ ও মাধ্যমিক স্কুল সমূহের প্রধান, ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলফিকার হোসেন বলেন শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। এই স্কুলে ২১জন শিক্ষকের মাঝে মাত্র ১০ জন শিক্ষক রয়েছে । তিনি শুন্য পদে শিক্ষক দেয়ার জন্য মাউশি ডিজির প্রতি অনুরোধ জানান।
বহুমাত্রিক.কম




