ঢাকা : পটুয়াখালীতে মা ও মেয়েকে গণ-ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও ৩ জনকে আজ আটক করেছে পুলিশ। এর আগে ঘটনার পরদিন নূর আলম নামে একজনকে আটক করেছিল পুলিশ।
বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী বলেছেন, আটক নূর আলম দোষ স্বীকার করেছেন। সে নাজিরপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সহ-সভাপতি। মোটরবাইকে লোকজনকে পরিবহন করাই তার পেশা।
ওসি জানান, "নূর আলম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। নিজের দোষ স্বীকার করে অন্য আসামিদের নামও বলেছে। সে স্বীকার করেছে যে সেখানে গ্যাং রেপ হয়েছে”।
তিনি আরও জানান, আজ নতুন তিনজনকে আটক করা হয়েছে মূলত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মূল অপরাধীদের খুঁজে বের করতে চায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে একজন নারী ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে করে কাছেই একটি এলাকায় বেড়াতে যান।একই মোটরসাইকেলে করে সেখান থেকে ফেরার সময় মোটর সাইকেলের চালক ও আরও কয়েকজন তাদের ট্রলারে উঠিয়ে তেঁতুলিয়া নদীর মাঝামাঝি নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।
পরে জেলেরা নির্যাতিত মা ও তার মেয়ের চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে অপরাধীরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে পালিয়ে যায়। পরদিন পরিবারটির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ৮/৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আটক তিনজনের পরিচয় জানতে চাইলে পুলিশ “তাদের (পরিবারটির) এলাকার ঘনিষ্ঠ” বলে জানায়।