
ছবি- সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল দিয়ে মিয়ানমার থেকে নতুন করে ২২ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নিলেও বাকি ৮ জন পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে টেকনাফ বাস ষ্টেশনের আবু ছিদ্দিক মাকের্ট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন নারী, দুইজন পুরুষ ও ১০ জন শিশু রয়েছে। তারা মিয়ানমারের বুচিডং শহরের লম্বাবিল এলাকার মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্য।
মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে নৌকাযোগে সেন্টমার্টিন উপকূল হয়ে বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের সদরের মহেশখালীয়া পাড়া উপকূলে উঠেন। নৌকায় মোট ২২ জন রোহিঙ্গা ছিল। অপর ৮ জন নৌকা থেকে নেমে অন্যত্রে পালিয়ে গেলেও অটোরিকশাযোগে বাকি ১৪ টেকনাফ স্টেশন এলাকায় আসেন। পরে তাদেরকে ওই মাকেটেই গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আটকে রেখেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, বিষয় জানানোর পর বিজিবি এসে তাদেরকে হেফাজতে নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, ১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সংঘাতের পর দেশটির রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা দখলে নেয় আরাকান আর্মি। এর পর থেকে গত পহেলা মে পর্যন্ত বাংলাদেশে নতুন করে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের তথ্য জানিয়েছিল ইউএনএইচসিআর ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।