
ছবি- সংগৃহীত
বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর পর রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে অবৈধভাবে সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী রায় লেখেন এ বি এম খায়রুল হক। যেখানে স্বাক্ষর করেন, তৎকালীন বিচারপতি মোহা. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অবৈধ রায়ের বিষয়ে আসামি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিষয়ে এবং মামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্যদের বিষয়ে তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
পরে আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় এবং নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন।
গত ২৩ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত: ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন খায়রুল হক। ২০১১ সালে ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল মামলার মূল রায়দানকারী হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সমালোচিত খায়রুল হক।