
ফাইল ছবি
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পাশাপাশি হত্যাচেষ্টা মামলায় ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুদিন পর সেখানেই ফিরে যাব। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকল আমাদের জন্য। আমাদের সরকারের কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা।’
তিনি লিখেছেন, ‘ঢালাও মামলার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। এবং সেই নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিল।’
ফারিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি অনেকদিন ধরেই ছিল জানিয়ে ফারুকী লিখেছেন,‘সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেপ্তারের কোনো উদ্যোগ নেওয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটা ঘটে।আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নারভাসনেস থেকেই হয়তোবা এসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এ রকম একটা ঘটনা ঘটেছে।এইসব ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না।’
সবশেষে আশা প্রকাশ করে ফারুকী লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে এবং এই ধরনের ঢালাও মামলাকে আমরা আরও সংবেদনশীলভাবে হ্যান্ডেল করতে পারব-এই আশা। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের প্রধান কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দমনের নামে এনামুল নামে একজনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এনামুল হক আদালতের আদেশে ভাটারা থানায় মামলা করেন।হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় নুসরাত ফারিয়া ছাড়াও আসামি করা হয়েছে-অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।
তা ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শ’জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।