ছবি- সংগৃহীত
‘মানুষ মানুষের জন্য’ এটি কোনও সংস্থা বা সংগঠন এর নাম নয় এটি হৃদয়ে এ ধারণ করা এক বাণী যা ধারণ করে বহু পথ পাড়ি দিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন ১৯৯৯ ব্যাচ এর ছাত্ররা, ১৯৯৯ সালে স্কুল থেকে বিদায় নেবার পর ঠিক ২০০৮ সালে আবার সবাই একত্রিত হয়ে একটি পণ করেছেন "মানুষ মানুষের জন্য" Rcs99 এই সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২২০ জন।
২০০৮ সাল থেকে তারা ধারাবাহিক ভাবে প্রতি বছর পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে, কিন্তু এই বার দেশের দুর্যোগ কালীন সময়ে অনুষ্ঠানের যাবতীয় অর্থ নিয়ে রাজশাহীর নিরুপায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও দেশের দুর্যোগ কালীন সময়ে তারা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, এবারও তাদের পরিকল্পনা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে করা হয়েছে, রাজশাহী শহরের বেশ কিছু স্থান কে কেন্দ্র করে তারা ১০০টি করে ব্যাগ তাদের নিজ দায়িত্বে নিরুপায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এখানে তাদের চিন্তাটা আর দশ জনের থেকে ব্যতিক্রম, তারা শুধু মাত্র কর্মজীবী মানুষ যারা বর্তমানে কর্মের অভাবে বেকার হয়ে গেছে তাদের কে লক্ষ করে কাজ করে যাচ্ছে, তাদের চিন্তা কর্মজীবী মানুষ খুব সহজেই অন্যের কাছে সাহায্য চাইতে পারে না, তাই তাদের মতে এই শ্রেণীর মানুষের কষ্ট সব থেকে বেশি তাই তারা সমাজের এই শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
গত শুক্রবার রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকা থেকে তাদের চতুর্থ দফায় কর্মসূচি শুরু হয়। এই পর্যন্ত তিন দফায় মোট ৩০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরন করা হয়েছে, আজকে তারা নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় ২০০ নিরুপায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করছে।
আরসিএস৯৯ (রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ১৯৯৯ ব্যাচের এই কার্য প্রক্রিয়াতে আছেন মো: হোসনে রাব্বী ভুঁইয়া লিজেন, মো: রাসেল হাসান, : মেজবাউর রহমান, মো: আহসান উল করিম রাজিব, মো: উদয়ন ইসলাম কানন, মো: আব্দুল বাকি, মো: নাফিউল ইসলাম, এবং আল আমিন হোসেন সুমন।
সাবেক শিক্ষার্থী মো: রাসেল হাসান জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই তাদের এই কর্মসূচির শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩০০ জন নিরুপায় মানুষকে খাদ্যদ্রব্য প্রদান করা হয়েছে। মোট ১০০০ নিরুপায় মানুষকে ১০ দিনের খাদ্য দ্রব্য প্রদান করা হবে। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে থাকছে ৫কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১লিটার তেল, ১কেজি আটা, সেমাই, চিনি ও সাবান। এছাড়াও বিশেষ প্রয়োজনে নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে মাঠে কাজ করছে ১৯৯৯ ব্যাচের সকল সাবেক শিক্ষার্থীরা। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে তাই খাবার দেবার পাশাপাশি সকলকে করোনা বিষয়ক সচেতন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যতদিন এই নিরুপায় মানুষগুলোর কোনো কর্মের ব্যবস্থা হবেনা ততো দিন আমরা তাদের পাশে থাকবো। এই কাজের পিছে আমাদের বড় কোনও উদ্দেশ্য নেই। যখন মানুষ মনে করবে তাদের পাশে আমাদের দরকার আমরা থাকবো।