
ফাইল ছবি
নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ঋণের আর কোনো কিস্তি ছাড় দিতে চায় না আইএমএফ। ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে দাতা সংস্থাটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, এখন ঋণের বাকি অর্থ না পেলেও চলবে বাংলাদেশের।
রিজার্ভের ধারাবাহিক পতনে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশকে ২০২৩ সালে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয় আইএমএফ। পরে ২০২৪ এ অন্তর্বর্তী সরকার এসে চুক্তি করে আরও ৮০ কোটি ডলারের ঋণ। তবে সংস্থাটি থেকে অনুমোদিত ঋণের সাড়ে ৫০০ কোটির মধ্যে পাওয়া গেছে মাত্র ৩৬০ কোটি ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঋণের অর্থ ছাড়ে শুরু হয় ধীরগতি।ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের পর গভর্নর জানালেন, ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে আবারও সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যে ইস্যুটা আসছে, আমরা বলেছি, নির্বাচনে যে ফলাফলই আসুক, আমরা যদি পলিসি মিট করে থাকি, তাহলে আমাদের রিভিউটা কমপ্লিট হওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে তাদের মতামত হচ্ছে, নতুন সরকার আসবে, তাদের কি মতামত থাকবে, আমরা তাদের কমিটমেন্টের নিশ্চয়তা চাই। এবং সেটাও আন্ডারস্ট্যান্ডেবল।’গভর্নর জানান, অর্থনৈতিক বেশিরভাগ সূচকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে থাকার পরও ঋণের অর্থ ছাড় না দিলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে উন্নয়ন সহযোগীরা
গভর্নর বলেন, ‘সব সময় যে আইএমএফ প্রোগ্রামে থাকতে হবে, এমন কোনো বিষয় ফিক্সড করে তো আমরা আসিনি। আমাদের ইকোনমিক পজিশন চেঞ্জ হয়ে গেছে। এখন কি আমাদের ব্যালেন্স স্থিতিশীতলতার জন্য আইএমএফের টাকা দরকার? আমি বলবো, না। টাকার দরকার নেই, আমাদের হয়তো পলিসি সাপোর্টের দরকার আছে। টাকার চেয়ে বেশি দরকার একটা পলিসি এজেন্ডা তৈরি করা, এ সরকার যতটুকু পারবে তা বাস্তবায়ন করবে।’
চলতি মাসের শেষদিকে ঋণের শর্তপূরণের অগ্রগতি ও পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে আইএমএফ মিশনের।