
ফাইল ছবি
দক্ষিণ সুদানে নীলনদের উপকূলে লড়াই চলার কারণে মারাত্মক খাদ্য ঝুঁকিতে আছে অন্তত ৬০ হাজার শিশু। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের দুটি ভিন্ন সংস্থা বলেছে, চলমান সংঘাতের কারণে দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্রায় মাসখানেক ধরে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো ব্যাহত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, নীলনদের উজানের দিকের অঞ্চলে চলতি মাসেই খাবার সংকট দেখা দেবে বলে তাদের আশঙ্কা রয়েছে। অথচ দক্ষিণ সুদানের ওই অংশেই অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
সংস্থা দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও সংকটে শিশুরাই প্রথম ভুক্তভোগী হয়। তা প্রতিহত করতে আমাদের উচিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। নইলে খাদ্য ঘাটতির কারণে ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর হয়ে পড়া এলাকায় অপুষ্টির মাত্রা মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
দক্ষিণ সুদানে অল্পই পাকা রাস্তায় রয়েছে। আর কাচা রাস্তাগুলো বর্ষাকালে চলাচলের অনেকটা অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে, দেশটির যোগাযোগব্যবস্থায় নীলনদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত মাসের মাঝামাঝি নীলনদের উজানে হাজার টনের খাদ্য নিয়ে পাঠানো একটি নৌবহর নিরাপত্তার অভাবে গন্তব্যে না পৌঁছেই ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
সংঘর্ষের পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘ সরাসরি মন্তব্য না করলেও, মার্চ মাস থেকে সরকারপন্থি বাহিনী ও নুয়ের জাতিগোষ্ঠীর ‘হোয়াইট আর্মি’ মিলিশিয়াদের মধ্যে নীলনদের আশপাশে লড়াই চলছে।
চলমান লড়াইয়ের ফলে দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক সংকট। এসবের মধ্যে আবার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাকর গ্রেফতার হয়েছেন। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে—২০১৮ সালে গৃহযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসা দেশটিতে চলমান সংঘাতের কারণে আবার যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে।