ছবি- সংগৃহীত
মাঘী পূর্ণিমার সন্ধ্যায় শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে সমবেত কণ্ঠে "সবার মিলন মোহনায় এসো সম্মিলনী গাই, বিশ্বদুয়ারে করাঘাত করে জাগাবো বিশ্বপ্রাণ" উদ্ধোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠান উঠোন আত্মপ্রকাশ করে।
৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬.৩০ টায় রাজধানীর শাহবাগস্থ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠান উঠোন এর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শিল্পী অলক দাস গুপ্তের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য। আদ্রিতা সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনিকেত রাজেশ।
উঠোন এর ঘোষণাপত্রে বলা হয় "জীবনের অপর নাম সংস্কৃতি। বাঙালি সংস্কৃতির শেকড় অনুসন্ধান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে লোকসঙ্গীতের সাথে গণসঙ্গীতের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সঙ্গীতচর্চাকে আমরা ব্রত মনে করি। ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সম্মিলনের মাধ্যমে সকল মানুষের সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এ সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার সঙ্গীত ও আবৃত্তিকে আমাদের মূল উপজীব্য হিসেবে গ্রহণ করেছি।"
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলীয় ও একক সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশন করে নবগঠিত দলের শিল্পীরা। উঠোন এর শিল্পী ছাড়াও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতশিল্পী আরিফ রহমান ও আবিদা রহমান সেতু, একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী নায়লা তারান্নুম কাকলি।
উঠোন এর শিল্পীরা হলেন মাহজাবিন শাঁওলি, আসাদ সালমান, কচি সরকার, মাহানুর জাবীন শর্মি, সাগর বড়ুয়া, অনামিকা রায়, আদ্রিতা সরকার, মাহাবুব রানা তরুণ, ওহিদুল ইসলাম, রত্না দত্ত, হাবিব রহমান তুষার, প্রাপ্তি রুদ্র, পূর্বা দাস, তন্বী ও সালেহ মোহাম্মদ খোকন।
বহুমাত্রিক.কম