Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১৮ ১৪৩১, শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

সাভারে খামারে মাছের মড়ক : কোটি টাকার ক্ষতি

তুহিন আহামেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৭, ১৪ আগস্ট ২০২০

প্রিন্ট:

সাভারে খামারে মাছের মড়ক : কোটি টাকার ক্ষতি

সাভারের আশুলিয়ায় একটি মাছের খামারে মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে ওই খামারের প্রায় ৩`শ টন মাছ মরে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে খামারের মালিকের দাবী দূর্বৃত্তরা পানিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছে। আর সাভার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন পানিতে এ্যামোনিয়া গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ফলেই এমনটি হয়েছে।

শুক্রবার সকালে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার দেওয়ান ইদ্রিস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকার প্রাণ প্রকৃতি এগ্রো মাছের খামারে মাছ নিধনের এঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে শুক্রবার সকালে ওই খামারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে জালের বেড়া দিয়ে মাছের খামার করেছেন আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার সাইফুল ইসলাম হিকু, তার ভাই আবু সাঈদ বেপারী, শরিফুল ইসলাম আলমাস, আরিফুল ইসলাম ও শাহিদুল ইসলাম। পাশেই রয়েছে আমজাদ হোসেন মাষ্টার, পারভেজ ও জিল্লুর রহমান দিলার খামার।

কিন্তু হঠাৎ ৫ভাইয়ের যৌথভাবে করা খামারে হঠাৎ রুই, কাতল, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, গ্লাস কার্প, বাটা, টেংড়া, পুটি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যায়। সেগুলো পানিতে ভাসছে। চারপাশেই মৃত মাছের দূর্গন্ধ। 

কথা হয় ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য খামারি শহিদুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, তারা ৫ভাই যৌথভাবে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে দীর্ঘ ২২বছর ধরে মাছের চাষ করছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে খামারে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখেন মাছগুলো মরে পানিতে ভেসে উঠেছে। পরে শুক্রবার সকাল থেকে খামারের সমস্ত মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী তার।

শহিদুলের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম আলমাস জানান, বিগত বছরগুলোতে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। খামারে ১০ বছর বয়সেরও বড় বড় মাছ ছিল। কেউ পূর্ব শত্রুুতার জেরে কিংবা ঈর্ষান্বিত হয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরে ফেলেছে।

তিনি আরো জানান, তারা সাভার উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের নথিভুক্ত চাষী। ২০১৬ সালে সাভার উপজেলার সেরা মৎস্য উদ্যোক্তা হিসেবেও নির্বাচিত হন।

সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। তারা ওই খামারের পানি পরীক্ষা করে দেখেছেন। পরীক্ষায় পানির প্যারামিটার এ্যাবনরমাল পাওয়া গেছে। এছাড়া পানিতে এ্যামোনিয়া গ্যাসের পরিমাণ যা থাকার কথা তার থেকে ১০গুন বেশী পাওয়া গেছে। যা মাছ চাষের উপযোগী নয়। এ্যামোনিয়া গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে একটি মাছ আড়াই পাক (ঘুর্ণা) দিয়েই মরে যায়।

কীটনাশক প্রয়োগে মাছ মারা গেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তাদের পরিক্ষায় কীটনাশক প্রয়োগে মাছ মরে যাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট নয়।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer