ছবি: জনসংযোগ বিভাগ, বশেমুরকৃবি
বশেমুরকৃবি, গাজীপুর : প্রতিরোধী জাত উন্নয়নের মাধ্যমেই রুঁখে দেওয়া সম্ভব দেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান-গম উৎপাদনের অন্যতম শত্রু ‘ব্লাস্ট’ এর আগ্রাসন। যার মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অটুট রাখাও সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্রিডিং ফর ডিউরেবল রেজিস্ট্যান্স এগেইনস্ট রাইস ব্লাস্ট টু রিডিউস রাইস ইল্ড লস এন্ড ফানজিসাইড ডিপেনডেনসি’ শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালায় এসব আশাবাদের কথা জানিয়েছেন দেশের প্রতিথযশা কৃষি বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া।
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)’র জেনেটিক্স এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের উর্ধ্বতন বিজ্ঞানী ড. বো. ঝু অতিথি বক্তা হিসেবে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
দেশের অন্যতম খাদ্যশষ্য গমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বেশ কিছু জেলায় এ সংক্রমণের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা নড়েচড়ে বসেন। চলে মাঠ পর্যবেক্ষণ ও করণীয় নির্ধারণে জাতীয় পর্যায়ে একাধিক কর্মশালা।
বিদ্যমান এ অবস্থার মধ্যেই প্রধান খাদ্যশষ্য ধানেও দেখা দেয় ব্লাস্টে সংক্রমণ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এদেশে কাধ্যনিরাপত্তার জন্য তৈরি করে নতুন হুমকি। ফলে স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ ব্লাস্ট সংকট মোকাবেলায় সরেজমিন অনুসন্ধান ও নিরসনে নতুন করে গবেষণায় মনোনিবেশ করে। দেশের প্রতিথযশা গবেষকরা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রথিষ্ঠানের সঙ্গে তথ্যবিনিময় ও সংগৃহীত আক্রান্ত ধান-গমের নমুনা পরীক্ষা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই সংকট নিরসনে বেশকিছু সমাধানসূত্রও উন্মোচন করেন।
বশেমুরকৃবি’তে অনুষ্ঠিত এ সেমিনার সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরারই প্রয়াস। কর্মশালায় বিশ্নবিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ, পরিচালক/সহযোগী পরিচালক (গবেষণা), প্রক্টর, প্রভোস্টসহ অন্যান্য শিক্ষক ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বহুমাত্রিক.কম