
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে তিনজনকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- জন ক্লার্ক, মাইকেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস।মঙ্গলবার সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে) বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
‘বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং শক্তির পরিমাণ নির্ধারণের আবিষ্কারের জন্য’ জন ক্লার্ক, মাইকেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিসকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল দেয়া হয়েছে।
গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জয় করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড এবং জিওফ্রি ই. হিন্টন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেয়া হয়।
তার আগের বছর, ২০২৩ সালে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।
এর আগে, সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণা করা হয়। এবার যৌথভাবে চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী মেরি ই. ফ্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের গবেষক শিমন সাকাগুচি। ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে রসায়নে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সাহিত্যে এবং শুক্রবার বিকেল ৩টায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ১৩ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম।
১৯০১ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হন।
মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে যান যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার দেয়া হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।