বাংলাদেশের মানুষ উবারে সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করেন বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। আর উবারের যানবাহনগুলোর মধ্যে এখানকার মানুষের প্রথম পছন্দ উবার মোটো, মানে মোটরসাইকেল সার্ভিস। দ্বিতীয় স্থানে আছে উবার এক্স।
রেলস্টেশন, বিমানবন্দর ও বাসস্টপ বাদে রাজধানীতে উবারে চলাচলকারী যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি যান গুলশান ১-এ। জনপ্রিয়তায় শীর্ষ পাঁচ গন্তব্যস্থলের বাকি চারটি হলো যথাক্রমে যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও গুলশান ২।
গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবারের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ‘২০১৯ সালে বাংলাদেশে যেভাবে চলাফেরা করেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গতকালই প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, মাস বিবেচনায় গত বছরে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি উবার ব্যবহার করেছেন। অন্য মাসগুলোর মধ্যে অক্টোবর, সেপ্টেম্বর ও জুলাইয়ে মানুষ উবারে বেশি চড়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, উবারে সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী চড়েছিলেন গত ৫ ডিসেম্বর। এ ছাড়া ৫,১২ ও ৮ ডিসেম্বর, ২৮ নভেম্বর এবং ১৫ ডিসেম্বর সর্বাধিক যাত্রী ওঠেন উবারে।
বাংলাদেশি যাত্রীরা আন্তর্জাতিক শহরগুলোর মধ্যে কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে রাইড শেয়ারিং যান হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন উবার। যাত্রীদের মতামত ও নিজস্ব ডেটা মানে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে উবার এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে বলা হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে রাইড শেয়ারিংয়ের চাহিদা বাড়ছে।
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে উবারের বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান প্রভজিৎ সিং বলেন, ‘২০১৯ সালে বাংলাদেশের গতিশীলতা কেমন ছিল, তা দেশবাসীকে জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। দেখে ভালো লাগছে যে আমাদের অনেক রকম মোবিলিটি সলিউশনের যে লক্ষ্য, তা এ দেশের যাত্রীদের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে মিশে গেছে এবং তাঁরা আমাদের বেশ কিছু সহজলভ্য, নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী অফার গ্রহণ করছেন। ২০২০ সাল এবং এর পরবর্তী সময়েও আমরা আমাদের যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বাংলাদেশে উবারের চালকদের জন্য ব্যস্ততম সময় হলো সন্ধ্যা সাতটা। এর পরের চারটি পিক-আওয়ার বা ব্যস্ত সময় হলো বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা ছয়টা, রাত আটটা এবং বিকেল চারটা।