ঝালকাঠি : জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামের (জমাদ্দার হাট) বাড়ানী খালের ভাঙা ব্রিজের ওপরে একদল তরুণ নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। দশটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের সুব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা।
উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ানের (জমাদ্দার হাট) এর পাশে বাড়ানী খালের ব্রিজটি সিডরে ভেঙ্গে যায়। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ছাড়া এলাকাবাসীর ভাগ্যে ব্রিজের দেখা মেলেনি। বাধ্য হয়ে পূর্বের ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে তরুণরা ব্রিজের ওপর সাঁকো নির্মাণ করেন।
ব্রিজটির উত্তর পাড়ে একটি বাজার, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর ব্রিজের দক্ষিণ পাড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এখানকার শত শত শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এ ভাঙ্গা ব্রিজ পাড় হচ্ছেন। যাতায়াত হচ্ছে খেয়ায়ও। দশ গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে এবং আমুয়া বন্দর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয় এ ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে।
৭৪ নং দক্ষিণ পূর্ব চেঁচরী জমাদ্দার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক থাকাকালিন সময়ে নিজের খরচে এই ব্রিজের ওপরে বাঁশের সাঁকো দিয়েছি অনেববার। এখনও শুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়েছি এলাকার তরুণদের। এলাকার যেসব তরুণরা এ ব্রিজে সাঁকো নির্মান করেছেন তারা হলেন, নাসির হাওলাদার, হাবিব ঘরামি, আবুল সিকদার, জামাল মিয়া, মন্টু মিয়া ও সবুজ খরাতি।
এদের মধ্যে যুবক হাবিব ঘরামি বলেন, বাড়ানী খালের দুই পাড়ে স্কুল। শিশুরা যাতে সঠিক সময়ে সুন্দারভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারে তার জন্য এলাকা থেকে সুপারি গাছ ও বাঁশ সংগ্রহ করে ব্রিজের ওপর সাঁকো তৈরি করেছি আমরা।
বহুমাত্রিক.কম