Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মিত্রবহনীর ভারতীয় এবং সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

মিত্রবহনীর ভারতীয় এবং সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা

ছবি-পিআইডি

ঢাকা : একাত্তরের মিত্রবহনীর ভারতীয় সদস্য এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শুক্রবার রাতে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২৯জন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী চট্টগ্রাম বন্দরের ‘মাইন সুইপিংয়ে’ অংশ নেওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঁচজন সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নানসহ ভারতীয় হাইকমিশন, রাশিয়ান দূতাবাস, মুক্তিযুদ্ধ ও পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অর্থ মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও রাশিয়ার অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে”

ভারতের সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে ভারত সহায়তা না করলে এত অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত না।স্বাধীনতার কয়েক মাস পরেই ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বন্ধুত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত । আর রাশিয়ার সমর্থন আমাদের ন্যায্য অধিকারকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরের বন্ধুদের বাংলাদেশ যথাযথ সম্মান করে । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতীয় জনগণ এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সহায়তা করেছে তা বিশ্বে বিরল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন,
মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে যখন বাংলাদেশের বিজয় অবশ্যাম্ভাবী তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব তুললে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে ভেটো দেয়। চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি বাহিনীর পুতে রাখা মাইন অপসারণ করে। এসময় কয়েকজন সোভিয়েত সেনা নিহত হন।
রক্তের বিনিময়ে ভারত, রাশিয়া আর বাংলাদেশের যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা দৃঢ়তর হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জি এস সিহতার নেতৃত্বে ভারতীয় এবং ভিক্তর কঝরিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার নৌ সেনা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে বাংলদেশে এসেছেন।
পরে সকলে নৈশভোজে অংশ নেন।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer