ছবি- সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিমউল্ল্যাহ চৌধুরী শারীরিক নানা জটিলতায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের রয়েল হাসপাতালের সিসিইউ চিকিৎসাধীন তিনি।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কমার্স কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর পরিবারে স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
বড় মেয়ে রুমানা সোলাইমান চৌধুরী বলেন, গত ২০১১ সালে বাবার পায়ে ইনফেকশন ধরা পড়ে। তাঁর শারীরিক জটিলতা তখন থেকেই শুরু হয়। পায়ের ইনফেকশন আস্তে আস্তে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বারডেমসহ বিভিন্ন হাসপাতালে একাধিকবার অপারেশনসহ নানাভাবে চিকিৎসা করানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে এটা নিয়ে চিকিৎসা চলছিল। এরই মধ্যে হার্টে ব্লক ধরা পড়লে রিং পরানো হয়।
তিনি বলেন, আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন বাবা। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারে যান। হাঁটাহাঁটি হয়তো একটু বেশি হয়ে গিয়েছিলো, সন্ধ্যার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে বাবার কিডনী কাজ করছে না। পেশাব ও রক্তে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে।
এ রাজনীতিবিদের স্ত্রী বিলকিস আক্তার চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিলকিস কলিমউল্ল্যাহ নামেই পরিচিত। তিনি বলেন, উনার (কলিমুল্লাহ চৌধুরী) শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সর্বশেষ কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো রেসপন্স নেই। মাঝে মধ্যে হাত নাড়িয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেগুলো বোঝা যায় না। আমরা কিছু বলার চেষ্টা করলে কোনো উত্তর মেলে না। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
রয়েল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে কর্তব্যরত ডা. ইমতিয়াজ উদ্দিন নাহিদ বলেন, কলিমউল্ল্যাহ চৌধুরী মাল্টিঅর্গান ফেলিউর পেশেন্ট। হার্টসহ তাঁর একাধিক অপারেশন হয়েছে। এর আগে তার ব্রেন স্ট্রোকও হয়েছে। বর্তমানে তাঁর ব্লাড পেশার পাওয়া যাচ্ছে না, যা সেপ্টিসেমিয়া উইথ সেপ্টিক শক বলা হয়। এদিকে আবার ফুসফুসে নিউমোনিয়ার লক্ষণও রয়েছে। গত দুই মাসে হাসপাতালে কলিমুল্লাহ চারবার ভর্তি হয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর চিকিৎসার্থে ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ি চিকিৎসা চলছে। কিন্তু রোগীর কোনো রেসপন্স নেই। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।