Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ২০ ১৪৩১, শনিবার ০৪ মে ২০২৪

ফসল গেলেও ‘আভিজাত্য রক্ষায়’ খামতি নেই হাওরবাসীর

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

ফসল গেলেও ‘আভিজাত্য রক্ষায়’ খামতি নেই হাওরবাসীর

ছবি: বহুমাত্রিক.কম

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নরসুন্দররা এখন মহাব্যস্ত। চুলকাটা, সেভ করা, চুলে কলপ দেওয়ার কাজে দম ফেলার সুযোগ নেই তাদের। দীর্ঘ বন্যায় ফসলে ভাসিয়ে নিলেও সৌন্দর্য সচেতন হাওরবাসী চুল-দাঁড়ি কামাতে এতোখানি পিছিয়ে নেই। শত হলেও হাছন রাজার দেশ বলে কথা, আভিজাত্য রক্ষার তাগিদ যে তাদের মজ্জাগত!

জেলা শহরের বিত্তবানরা আলোকসজ্জিত এসি রুমে বসে সৌন্দর্য বাড়ালেও হাওরাবাসী সাধ্যের সাধারণ সেলুনেই সৌন্দর্য বাড়াতে তৎপর! সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, বিশ্বাম্ভরপুর, দিরাই, শাল্লা সহ প্রতিটি উপজেলার বাজারের সেলুনগুলোতে তাই ছেলেবুড়োর দীর্ঘ লাইন।

জানা গেছে, সারা বছর যে পরিমাণ কাজ করেন তার চেয়ে দুই ঈদে বেশি কাজ করেন নরসুন্দররা। তারা বছরধরে অপেক্ষা করেন এই সময়টার। এসময়ে সেলুনগুলোতে একজন শেষ না হতেই আরেক জন বসে থাকেন চুল-দাঁড়ি কামাতে।

সবাই অন্য সময় ৩০-৪০ টাকায় চুল-দাঁড়ি কাটতে পারলেও ঈদে একটু বাড়িয়ে খুশি হয়ে ৫০-৬০টাকা দেন নরসুন্দরদের। তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের দীপ জনপদ ও সীমান্ত এলাকার প্রতিটি বাজারে ৪-৫টি করে সেলুনে এখন দীর্ঘ লাইন।

বাদাঘাট ইউনিয়ন সহ বড় বড় বাজারগুলোতে ১৫-২৫টি পর্যন্ত সেলুন আছে-তারপরও ভিড় লেগেই আছে। তাহিরপুর উপজেলার সদরের নর সুন্দর রতন রায় বলেন, ‘ভাই সারা বছরেই কাজ করে কোন রখমে সংসার চালাই। তবে ঈদ এলে আমাদের একটু বেশীই উপার্জন হয়।

নরসুন্দর জহরলাল ও সুরেশ লাল জানান, এবার বোরো ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় সবার মন তেমন ভাল নেই তারপরও সবাই ঈদকে সামনে রেখে চুল, দাড়ি কাটছে তবে তুলনামুলক ভাবে কম। ঈদের আগের দু-দিন বেশি কাস্টমার পাব আর কাজের চাপ থাকে বেশি।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer