Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কৃষিতে বহুমূখি অবদানের জাতীয় স্বীকৃতি পেলেন অধ্যাপক শহীদুর

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২৮, ১৮ জুলাই ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

কৃষিতে বহুমূখি অবদানের জাতীয় স্বীকৃতি পেলেন অধ্যাপক শহীদুর

ঢাকা : শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এর জেনেটিক্স এন্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া-এর বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার (স্বর্ণপদক) লাভ করেছেন। কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণে প্রকাশণা ও প্রচারমূলক কাজের মাধ্যমে কৃষিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।

রোববার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া একজন প্রথিতযশা শিক্ষক, গবেষক, উদ্ভাবক, লেখক ও পেশাজীবি সংগঠক। তিনি ১৯৮৩ সালে ঢাকাস্থ তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটে জেনেটিক্স এন্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগে লেকচারার হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন এবং ২০০১ সালে তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এ অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভ করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি ১৯৯০ সাল থেকে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। বিজ্ঞান, বিশেষ করে কৃষি বিজ্ঞান, বিষয়ে তাঁর লেখালেখি এরপর থেকে আর কখনো থামেনি। বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ রচনার পাশাপাশি তিন কৃষি ও বিজ্ঞানের প্রাগ্রসর ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত বিজ্ঞান ও কৃষি বিজ্ঞান পত্রিকাসহ জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ রচনা করে যেতে থাকেন। তিনি গ্রন্থের অনুবাদ, গ্রন্থের অধ্যায় রচনা, জার্নাল সম্পাদনা ও সেমিনার এবং কনফারেন্স প্রসিডিংস সহ-সম্পাদনা করেন। তিনি নিয়মিত কৃষির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর প্রবন্ধ ও নিবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বাংলাদেশে প্রথম উদ্ভিদ প্রজনন বিষয়ের উপর একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ রচনা করেন যা বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়। এটি এ দেশের ছাত্র ছাত্রী, বিজ্ঞানী, গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেই সমাদৃত হয়। এটি বেশ কয়েকবার পুন:মুদ্রিত হয়েছে। দু’বার গ্রন্থটির সংস্করণও করা হয়েছে। তিনি ফসল উন্নয়ন কর্মকা-ের নানা বিষয় নিয়ে মোট ১৬টি গ্রন্থের লেখক।

তাঁর রচিত ও প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলো হলো-কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন শব্দকোষ (২০০১), উদ্ভিদ প্রজনন ও বিবর্তন (২০০৬), জেনেটিক্যালী মডিফাইড ফসল-বর্তমান ও ভবিষ্যৎ (২০০৮), ফসলের উন্নয়ন-বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (২০০৯), জীব প্রযুক্তি (২০১০), ধান-উন্নয়ন পরিপ্রেক্ষিত (২০১২), ফসল উন্নয়ন ও প্রযুক্তি (২০১২), পুষ্পকথা (২০১৩), ফসল ও মানুষ (২০১৪), খাদ্য ও পুষ্টি ভাবনা (২০১৪), ফসল কৃষি নানা ভাবনা (২০১৪), ফসলের জীববৈচিত্র্য ও জিন সম্পদ (২০১৫), বংশগতিবিদ্যার জনক- গ্রেগর যোহান মেন্ডেল (২০১৬), Plant Tissue Culture (২০০৮, সহ-লেখক) ও বিজ্ঞানের কথা নিজের কথা (২০১৭)। তাঁর সহ-সম্পাদিত অনুবাদ গ্রন্থ হলো - হাইব্রিড ধান উৎপাদন প্রযুক্তি (২০০০) এবং তাঁর দুটি অধ্যায় সংযোজিত গ্রন্থ হলো-কৃষি সাংবাদিকতা (২০১২)।

তাঁর প্রকাশিত জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও কৃষি বিষয়ক বিজ্ঞান প্রবন্ধের সংখ্যা ১৯১টি। ফসলের বিবর্তন, জিন সম্পদ, ফসলের স্থানীয় জাত, ফসল প্রযুক্তি, ফসল উন্নয়ন কৌশল, হাইব্রিড জাত, জিএমও, খাদ্য ও পুষ্টি, ফুলের নান্দনিক প্রসঙ্গ, ফল, জীবপ্রযুক্তি, জীন প্রকৌশল, কৃষি জীববৈচিত্র্য, মেধাস্বত্ব এসব বিষয়ে তার লেখালেখি সবচেয়ে বেশি। তাঁর বেশ কিছু প্রবন্ধ বিজ্ঞান পত্রিকার lead প্রবন্ধ হিসেবে ছাপা হয়েছে। এসব প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে-ট্রিটিক্যাল-নব উদ্ভাবিত সার্থক ফসল (কৃষি কথা), ভোজ্যতেলের নিন্মমান বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি (ফার্ম হাউজ), দেশি জাতের ধানের নাম বৈচিত্র্য (কৃষি কথা), কৃষিতে রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োগ : প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ (উর্বরা), কাসাভা পোল্টির বিকল্প শক্তির সম্ভাবনাময় উৎস (ফার্ম হাউজ), হাইব্রিড ধানের সমস্যা ও উত্তরণের উপায় (কৃষি কথা), গ্রীন সুপার ধান (কৃষি বার্তা), আসছে গোলআলুর জিএম জাত (নবীন বিজ্ঞানী), প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন (কৃষিবিদ), বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস গবেষণা (নবীন বিজ্ঞানী), কৃষিশ্রম : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ (ফার্ম হাউজ), হাইব্রিড ভুট্টার জয়জয়কার (কৃষি কথা), চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বাংলাদেশের কৃষি (উর্বরা), ক্যানোলা-ভোজ্য তেলের উত্তম উৎস (ফার্ম হাউজ), ফুলের রানির কথা (কৃষি কথা), পুষ্টির ওপর জোর বাড়ান, ভাতের ওপর চাপ কমান (ফার্মহাউজ), জি এম ফসলের আদ্যোপান্ত: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ (ফার্ম হাউজ), পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র দূরীকরণে সবজি চাষ (কৃষি কথা), কৃষিতে মেধাস্বত্ত্ব ও আমাদের প্রস্তুতি (ফার্ম হাউজ) ইত্যাদি।

কৃষির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক বিষয়ের উপর জাতীয় ও আন্তজার্তিক সেমিনার বা ওয়ার্কশপে বা কনফারেন্সে তাঁর উপস্থাপিত কৃষির প্রবন্ধের সংখ্যা ৩১টি। তাঁর উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধের সংখ্যা ১২টি। তাঁর উপস্থাপিত অন্যতম মূল প্রবন্ধগুলো হলো- আন্তর্জাতিক ধান বর্ষ ২০০৪ উপলক্ষ্যে উপস্থাপিত Status of Traditional Rice in Bangladesh (২০০৩), ১ম শেরে বাংলা কাপ বিতর্ক প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে উপস্থাপিত ntellectual Property Right Issues in Agriculture (২০০৪) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত সার্ক সেমিনার ২০০৯ উপলক্ষ্যে উপস্থাপিত Insect Resistant Crop Varieties for Sustainable Agriculture (২০০৯), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় ওয়ার্কশপে উপস্থাপিত Research and Development of Oil Seeds: Recent Past, Present and Future (২০১১), বাংলাদেশ বিজ্ঞান লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে উপস্থাপিত খাদ্য নিরাপত্তা (২০১২), কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ১ম জাতীয় সবজি মেলা উপলক্ষ্যে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ- পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র দূরীকরণে বছরব্যাপী হরেক রকম সবজি চাষ (২০১৬)।

তাছাড়াও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে উপস্থাপিত Agriculture for Nutrition (২০১৬) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কর্তৃক বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে উপস্থাপিত Connecting People to Nature (২০১৭) ইত্যাদি।

বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানে কৃষি জীববৈচিত্র্য ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এদের বিনাশ রোধ করার জন্য বরাবরই সোচ্চার ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। কৃষি জীববৈচিত্র্য তথা ফসল, মৎস ও প্রাণি কৌলি বৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ড. ভূঁইয়া সেমিনার ও সম্মেলন আয়োজন করার পাশপাশি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন, জনপ্রিয় প্রবন্ধ রচনা, গ্রন্থ রচনা, গ্রন্থের অধ্যায় রচনা ও নানামুখী কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে থাকেন।

তিনি বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতি এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার কর্তৃক ফসলের কৌলি সম্পদ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সহ-এডিটর হিসেবে তিনি সেমিনার প্রসিডিংস চষধহঃ এবহবঃরপ জবংড়ঁৎপবং ড়ভ ইধহমষধফবংয ২০১২ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতি কর্তৃক ২০১৪ সালে আয়োজিত সমিতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাঁর উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল- Plant Genetic Resources of Bangladesh 2012। ২০১৬ সালে তিনি জাতিসংঘের Agro-Biodiversity of Bangladesh : Challenges and Opportunities- এর অর্থায়নে ও গাইড লাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষি গষেণা কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ হিসেবেতিনি কৃষির বিভিন্ন খাতের বিজ্ঞানী, গবেষক ও অন্যান্য ষ্টেকহোল্ডারদের সাথে ব্যাপক মত বিনিময়ের মাধ্যমে State of Agro-biodiversity for Food and Agriculture of Bangladesh শীর্ষক কৃষি জীববৈচিত্র্য বিষয়ক প্রথম Country Report প্রনয়ণ করেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর প্রকাশিত বিজ্ঞান গবেষণা পত্রের সংখ্যা ৯২টি। তিনি ইতোপূর্বে Journal of Agricultural Sciences and Technology-এর ‘এডিটর’ এবংJournal of Sher-e-Bangla Agricultural University-এর ‘চিফ এডিটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত জার্নাল Journal of Agricultural Sciences-এর ‘এডিটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বর্তমানে ৬টি জার্নলের এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এসব জার্নরগুলো হলো - - Bangladesh Journal of Agriculture, SAARC Journal Agriculture, Bangladesh Journal of Plant Breeding and Genetics, Bangladesh Agriculture, South Asian Journal Mv Agriculture, Journal of Sher-e-Bangla Agricultural University, International Journal of Bioresource, Environment and Agricultural Sciences (IJBEAS)| 

তিনি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি দ্বিবার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদনের ‘এডিটর’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সহ-এডিটর হিসেবে বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতি কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রবন্ধাবলী নিয়ে Proceedings of the International Conference on Plant Breeding and Seed for Food Security (২০০৯) প্রকাশ করেন।

তিনি মূলত একজন প্ল্যান্ট ব্রিডার। মূলত সরিষা নিয়ে তিনি গত বিশ বছর ধরে গবেষণা করে আসছেন। তিনি তার গবেষণার ফলশ্রুতিতে এসএইউ সরিষা-১ (২০০৬), এসএইউ সরিষা-২ (২০০৮) এবং এসএইউ সরিষা-৩ (২০১৪) নামে তিনটি সরিষা জাত উদ্ভাবন করেছেন যা কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক যথারীতি নিবন্ধিত হয়েছে এবং কৃষকের নিকট চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে। গত দশ বছর ধরে তিনি ধান উন্নয়ন গবেষণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ধানের জাত অবমুক্তির লক্ষ্যে সম্ভামনাময় একাধিক প্রাগ্রসর লাইনের DUS টেষ্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন সমিতির পক্ষ থেকে প্ল্যান্ট ব্রিডিং-এর ক্ষেত্রে সামগ্রিক অবদান রাখার জন্য “প্ল্যান্ট ব্রিডিং এওয়ার্ড” অর্জন করেন। ২০১৫ সালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কৃষি প্রকাশনার মাধ্যমে কৃষি শিক্ষায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন এবং কৃষির বিভিন্ন বিষয়ে সচেনতা সৃষ্টি ও কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিতকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় তাঁকে “কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কৃষি পদক ২০১৫” প্রদান করে। কৃষি শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, কৃষি প্রকাশণার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে ড. ভূঁইয়াকে “ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা ট্রাষ্ট ফান্ড গোল্ড মেডেল” প্রদান করা হয়।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer