Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিড়ির নিচে লক্ষাধিক খাবার স্যালাইন

কাজী রকিবুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৯ জুন ২০২১

প্রিন্ট:

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিড়ির নিচে লক্ষাধিক খাবার স্যালাইন

যশোর : যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের তিনতলার সিঁড়ির নিচে লক্ষাধিক খাবার স্যালাইন পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এক মাসেরও অধিক সময় ধরে স্যালাইন ভর্তি ৪০-৫০টি বস্তা অরক্ষিতভাবে সেখানে পড়ে আছে। রোগীদের অধিক প্রয়োজনীয় কয়েক লাখ টাকার সরকারি এই সম্পদ নষ্ট হতে চললেও এই ব্যাপারে নজর নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

বুধবার দুপুর একটায় সরেজমিন দেখা যায়, নতুন ভবনের তিন তলার সিঁড়ির নিচে স্যাঁতসেঁতে জায়গায় পড়ে আছে খাবার স্যালাইন ভর্তি ৪০-৫০টি প্লাস্টিকের সাদা বস্তা। প্রতিটি বস্তার গায়ে কাদামাটি লেগে আছে। বস্তার নিচে ফ্লোরে ময়লা পানি জমে আছে। বস্তাগুলোর পাশে পড়ে আছে ময়লার পাত্র, ভাঙা চেয়ার ও দুইটি ঝাঁড়ু। এক কথায় ময়লার মধ্যে অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে রোগীদের জীবন রক্ষাকারী এই খাবার স্যালাইন।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, ডায়রিয়া রোগীদের পানিশূন্যতা পূরণে খাবার স্যালাইনের জুড়ি নেই। হাসপাতালে ভর্তি বা বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা ও পানিশূন্যতা নিয়ে আসা রোগীদের এই খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলার ৪৩টা কমিউনিটি ক্লিনিকে এই স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। যা পেয়ে থাকে ক্লিনিকগুলোতে আসা সাধারণ রোগীরা।

কিন্তু এভাবে ময়লাযুক্ত জায়গায় মাসের পর মাস পড়ে থাকা খাবার স্যালাইন রোগীদের জন্য কতটুকু কার্যকরী সেটা ভেবে দেখা দরকার। মণিরামপুর হাসপাতালের স্টোরকিপার মহিতোষ দাস বলেন, প্রতি বস্তায় তিন হাজার খাবার স্যালাইন থাকে। একমাস আগে স্যালাইনগুলো এসেছে। বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে এগুলো পাঠানো হবে। তাই কষ্ট করে আর উপরে তোলা হয়নি। যেভাবে স্যালাইনগুলো রাখা হয়েছে তাতে কোনো সমস্যা নেই, দাবি তার।

মণিরামপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অনুপ বসু বলেন, বিষয়টি দেখেছি। স্যালাইন গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্টোরকিপার মহিতোষ জানিয়েছেন, স্টোরে জায়গা না থাকায় স্যালাইন এভাবে রেখেছে। তাকে স্যালাইন সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer