মঙ্গলবার ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী নিজেই টুইট করে এই খবর জানিয়েছেন। তবে সেই ভাষণের বিষয়বস্তু কী, সে বিষয়ে একটি শব্দও আগাম লেখেননি প্রধানমন্ত্রী।
সারা ভারতেই বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবের মরসুম। সেই উৎসবে গা ভাসিয়ে করোনার সংক্রমণ যাতে লাগামছাড়া মাত্রায় বৃদ্ধি না পায় তার জন্য সাবধানতার বার্তা থাকতে পারে মোদীর বক্তব্যে।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সরকার নিযুক্ত প্যানেল সম্প্রতি জানিয়েছে, দেশ করোনাভাইরাসের শিখর পেরিয়ে এসেছে। সেই বার্তা পেয়ে দেশবাসী যাতে করোনার বিধিনিষেধে শিথিলতা না আনেন, এমন সব বার্তা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে থাকতে পারে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল। যদিও অন্য কোনও বিষয়ে জরুরি ঘোষণার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শৃঙ্খল আটকাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রথম বার ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর ২৪ মার্চের ভাষণে পরের দিন থেকে দেশ্যবাপী লকডাউনের ঘোষণা হয়েছিল। ধাপে ধাপে লকডাউন বাড়িয়ে মোট ৬৮ দিন লকডাউন হয়েছে। তার পর আবার শুরু হয়েছে আনলক।
এই গোটা পর্বে একাধিক বার জাতির উদ্দেশে ভাষণে কখনও থালা বাজানো-প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলেছেন, কখনও বা ‘দো গজ দূরি, মাস্ক জরুরি’— এমন বার্তায় করোনা নিয়ে সাবধান করেছেন দেশবাসীকে। মঙ্গলবারের ভাষণের দিকেও নজর রয়েছে ভারতবাসীর।