যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা ৯০০ কোটি ডলার ফেরত দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। দোহায় দুদিনের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এ আহ্বান জানান আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।
এ ছাড়া সংগঠনটির নেতাদের কালো তালিকায় না রাখা ও তাদের বিরুদ্ধে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিলেও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিশাল অঙ্কের অর্থ এখনো ফেরত পায়নি তালেবান। ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের আমলে আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ৯০০ কোটি ডলার আটকে আছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিপুল অঙ্কের এই অর্থ ফেরত পেতে ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার।
স্থানীয় সময় বুধবার দোহায় দুই দিনের আলোচনা শেষে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত টম ওয়েস্ট এক বৈঠকে অংশ নেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর কাতারে দু’পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠক এটি।
বৈঠকে মার্কিন সরকার আফগানিস্তানের যে অর্থ আটকে আছে তা বিনা শর্তে হস্তান্তরের জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান আমির খান মুত্তাকি। পাশাপাশি তালেবান নেতাদের কালো তালিকায় না রাখা ও তাদের বিরুদ্ধে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি এক টুইট বার্তায় জানান, দুদেশের প্রতিনিধিদল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মানবিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং ও নগদ সুবিধা প্রদান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। এরপর দেশটি থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেয় বিভিন্ন দেশ। একে একে কার্যক্রম বন্ধ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাও। বন্ধ হয়ে যায় কয়েকশ’ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা। এতে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি, বেড়ে যায় বেকারত্ব। এ সমস্যা কাটাতে রিজার্ভ ফেরত পাওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন দেশটির অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।