Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোংলা ইপিজেডের আগুন ১৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৫:৪৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

প্রিন্ট:

মোংলা ইপিজেডের আগুন ১৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

মোংলা ইপিজেডে ভারতীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘ভিআইপি’র লাগেজ কারখানায় লাগা আগুন ১৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এরই মধ্যে কারখানার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। এখন চলছে ডাম্পিংয়ের কাজ। প্রাথমিক পর্যায় ১৫০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি দেখিয়ে থানায় জিডি করেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (হিসাব) আবুল হাসান মুন্সিকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিডেটের হেড অব এইচআর মো. মিজানুর রহমান খাঁন জানান, মোংলা ইপিজেডে ৯টি কারখানার মধ্যে ১ নম্বর কারখানাটিতে বিদ্যুতের শট সার্কিটের কারণে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, রামপাল ও স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের ১২টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা শুরু করে। তবে ততক্ষণে কারখানাটির সব কিছুই পুড়ে যায়।

তিনি জানান, কারখানায় থাকা লাগেজ তৈরির কাঁচামালসহ কয়েক হাজার তৈরি লাগেজ ছিল। বেশ কয়েকটি দেশে এগুলো রফতানির অপেক্ষায় ছিল। এছাড়া এ কারখানায় রাসায়নিক আঠা, পলিথিন জাতীয় দাহ্য পদার্থ ও হাই ভোল্টেজ মেশিনারিজ যন্ত্রপাতিও সম্পূর্ণ পুড়ে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

মিজানুর রহমান বলেন, পৃথিবীর সবচে বড় (এক লাখ ১১ হাজার বর্গ ফুট) এ লাগেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে কর্মরত ৭শ শ্রমিককে আমরা নিরাপদে বের করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোংলা ইপিজেডের একটি সুতার কারখানায় আগুন লেগেছিল। দুই বছর পর আবারও আগুন লাগল মোংলা ইপিজেডে। তবে সে সময়ে তেমন ক্ষতি না হলেও এবারের আগুনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer