ঢাকার নবাবগঞ্জ বাগমারা বাজারে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে একই পরিবারের শিশুসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
নিহতরা হলেন- আবুল কাশেম খান (৬৫), মনির খান বিল্লাল (৪৫) ও ফারহানা (৮)। আর আহতরা হলেন- প্রবাসী লাভলু মিয়া (৩৮), তার স্ত্রী রেখা খান (২৩) ও ফাহিমা (৫)।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় দুইজন। আর চারজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যায় বিল্লাল নামে ওই গাড়ি চালক।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন রায় জানান, ভোরে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসযোগে একই পরিবারের ৬ জন ঢাকার দোহারে যাওয়ার সময় নবাবগঞ্জ বাগমারা বাজার এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপর রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আবুল কাশেম খান ও ফারহানা নামের এক শিশু। আর আহত ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় বিল্লালের।
তিনি আরও জানান, পরিবারের আবেদনে ঘটনাস্থলে নিহত হওয়া দুইজনের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করতে রাজী হয়নি। বিল্লালের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে।
এদিকে প্রবাসী লাভলুর ছোট ভাই মো. সুমন জানান, তারা দোহার রায়পাড়া এলাকায় থাকেন। তার বড় ভাই লাভলু মিয়া কুয়েত প্রবাসী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রবাসে ছিলেন। ছুটিতে আজ ভোরে তিনি ঢাকায় আসেন। তাকে আনার জন্য স্ত্রী রেখা, শ্বশুর আবুল কাশেম এবং রেখার বড় বোনের দুই মেয়ে ফারহানা ও ফাহিমা সহ লাভলুর চাচা শ্বশুর বিল্লালের মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকায় বিমানবন্দর যায়। ভোর বেলায় তাকে নিয়ে দোহারের বাড়িতে ফিরছিলেন।
তিনি জানান, সকালের দিকে খবর পাই নবাবগঞ্জ বাগমারা বাজারে মাইক্রোবাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে প্রতিটি খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা দিয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, এই ঘটনায় হাসপাতালে ৪ জনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন মাইক্রোবাস চালক বিল্লাল মারা গেছে। বাকি তিনজন জরুরিভাবে ভর্তি আছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।
লাভলুর শ্বশুর কাশেম খান রায়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।