ছবি: বহুমাত্রিক.কম
গাজীপুর: সরকারি পুকুর দখল ও মাটি ভরাটের প্রতিবাদে গাজীপুরের কালীগঞ্জ-উলুখোলা সড়কের নাগরী বাজার সংলগ্ন রাস্তায় বাজার ব্যবসায়ী, মসজিদের মুসুল্লি, মুক্তিযোদ্ধা ও দোকান মালিকসহ স্থানীয় ৪ শতাধিক লোক শনিবার মানববন্ধন করেছে।
সকালে নাগরী বাজার পরিচালনা পরিষদ, মসজিদ ও কালীমন্দির কমিটি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, নাগরী বাজার পরিচালনা পরিষদ ও বাজার জামে মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ তমিজ উদ্দিন শিকদার, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন শাওন, নাগরী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোঃ আখতার উজ্জামান, বাজার কালিমন্দির কমিটির সভাপতি হরিপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক আনন্দ কুমার, উপদেষ্টা সদস্য মোঃ আবুল বাশার, স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ আমির হোসেন, মাওলানা মোঃ কামরুল ইসলাম ও মাওলানা মোঃ হযরত আলী প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, নাগরী বাজারের পাশে পুকুরটি যুগ যুগ ধরে বাজারের দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, ক্রেতা, মসজিদে আগত মুসুল্লিগণ ও কালী মন্দিরে আগত ভক্তবৃন্দ ব্যবহার করে আসছেন। এছাড়া নাগরী বাজারে কয়েকবার অগ্নিকান্ড ঘটলে নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের এই পুকুরের পানিই ছিল একমাত্র সম্বল। পুকুরটিসহ এই মৌজায় ৫৪ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মাঝে মিশনের নামে রেকর্ডে ২৬ শতাংশ থাকলেও প্রশাসনকে তুয়াক্কা করে বাকি ২৬ শতাংশও জমি তারাই দখল করে রেখেছে। স্থানীয় মিশন কর্তৃপক্ষ পুকুরটি জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য লিজ চেয়ে ১৯৯৪ সালে কোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে কোর্ট মিশনের পক্ষে একতরফা রায় প্রদান করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে সিভিল পিটিশনের মাধ্যমে রিট টু আপিল করা হয়। যা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু মিশন কর্তৃপক্ষ ওই সরকারি জমি থেকে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা করছে। পুকুরটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চেয়ে জেলা প্রশাসক গাজীপুর বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কেন নিরব ভূমকা পালন করছেন তা বুঝতে পারছি না।
বহুমাত্রিক.কম