ঢাকা : চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত অন্তত ২ হাজার মানুষ। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে লক্ষণ ফুটে ওঠার আগেই ভাইরাসটি অন্যদেহে ছড়িয়ে পড়ায় দমন কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানান চীনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আরো ব্যাপকহারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়ানো শুরু হয় চীনের উহান শহর থেকে। বর্তমানে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় অবরুদ্ধ শহরটি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও। উহান ছাড়াও বেশ কয়েকটি শহরে জারি রয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
চীনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা জিয়াওয়েই বলেন, `ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা আরো বেড়েছে। এর বিষাক্ততা বিশ্লেষণ করতে আমাদের আরো তথ্য উপাত্ত দরকার। মহামারীটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোধ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এটা মানব দেহে প্রবেশের দু`সপ্তাহ পর্যন্ত কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। তখনও এটা একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে।`
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দমনে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছে চীন। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগ বন্যপ্রাণী থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই মুহূর্তে টিকা তৈরি করার কাজ চলছে বলেও জানানো হয়। রোগ বিস্তাররোধে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
জিনইয়ানতান হাসপাতাল চীন চিকিৎসক জিয়া জিয়ান বলেন, `আমাদের এখানে ভর্তি থাকা ২০ শতাংশ রোগীর অবস্থা গুরুতর। যাদের বেশিরভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ। আগে থেকেই তারা বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। আমরা তাদের সবধরনের স্বাস্থ্য সহায়তা দিচ্ছি।`
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া মোকাবিলায় গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী। চীন ছাড়াও, জাপান, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রিয়াসহ ১৩টি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছে। আরো ব্যাপকভাবে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।